কোন ব্যক্তিকে আমরা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি? হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। তিনি হচ্ছেন মুহাম্মাদ (স)। ঈমান আনতে গেলে তাঁকে আমরা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে বাধ্য। কিন্তু এই ভালোবাসার মানুষটির জীবনচরিত কেমন ছিল, সেটা আমরা অনেকেই জানি না। কিংবা পড়া থাকলেও ঠিকমতো তাঁকে হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারি না। এটা আসলে ঈমানের দাবির সাথে কিছুটা সাংঘর্ষিক হয়ে যায়। তাঁর প্রতি আমাদের ভালোবাসার সত্যায়ন তখনি হবে, যখন তাঁর সীরাত মোতাবেক আমরা নিজেদেরকে পরিচালনা করতে পারব। যখন তাঁকে হৃদয়ের গভীর থেকে অনুভব করতে পারব। নয়তো এই ভালোবাসা কেবল মিছে দাবিই রয়ে যাবে। আমরা আমাদের পছন্দের খেলোয়াড় সম্পর্কে বলতে পারি আদ্যোপান্ত। প্রিয় তারকার ইতিবৃত্ত থাকে আমাদের নখদর্পণে। তাহলে কেন সেই মহামানবের সীরাত সম্পর্কে গভীরভাবে জানব না, যাঁকে আমরা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি? সেই প্রিয়নবিজির (স) জীবনী নিয়েই লেখা হয়েছে এই বই। গল্পের ঢঙ ও সাবলীল গদ্যরীতি অনুসরণ করা হয়েছে এখানে। পড়তে গিয়ে পাঠক বিরক্তি ফিল করবেন না আশা করি। পাশাপাশি মনোযোগ ধরে রেখে একটা অধ্যায়ের শেষ পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারবেন অনায়াসেই। সবচেয়ে বড় কথা হলো, নিজের জীবনের সাথে সীরাতকে আপনি রিলেইট করে পড়তে পারবেন। বর্তমান সময়ের সাথে মেলাতে পারবেন ১৪০০ বছর আগেকার ঘটনাবলি। বুঝতে পারবেন, সীরাত কিভাবে আপনার জীবন-সমস্যার সমাধান দিয়ে যাচ্ছে। কিভাবে হাত বুলিয়ে পরম মমতায় আপনাকে সতর্ক করে যাচ্ছে। শেষমেশ আপনিও বলতে বাধ্য হবেন—“ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার জীবন-যৌবন সব আপনার জন্যে কুরবান হোক!” তবে আর দেরি কেন? আসুন ডুব দিই সীরাতের ভুবনে।
আমি জাকারিয়া মাসুদ সত্যের আলাের সাথে পরিচিত হই ২০১১ সালে৷ লেখালিখির হাতেখড়ি ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে৷ সত্যের আলাে থেকে যে শিক্ষা পেয়েছি, তা-ই ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছে থেকে লেখালিখিতে আসা৷ আমার প্রথম বই “সংবিৎ', দ্বিতীয় বই ‘ভ্রান্তিবিলাস', তৃতীয় বই ‘তুমি ফিরবে বলে। সহলেখক হিসেবে কাজ করেছি ‘সত্যকথন’ ও ‘প্রত্যাবর্তন' বই দুটোতে৷ আর... থাক না কিছু অজানা৷ আমাদের চারপাশে তাে কত ঘটনাই ঘটে যাচ্ছে, আমরা কি সবই জানি?