মানব জীবনে ইবাদতের গুর“ত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কেননা আল্লাহ মানুষকে তাঁর ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। ইবাদতের মাধ্যমে ইহকালীন জীবন যেমন সুন্দর ও সুচার“রূপে পরিচালিত হয়, পরকালীন জীবন হয় তেমনি মঙ্গলময়। আবার ইবাদত না করলে যেমন আল্লাহর নাফরমানী করা হয়, তেমনি পৃথিবীতে মানুষ প্রেরণের উদ্দেশ্য অপূর্ণ রয়ে যায়। ইবাদত কেবল ছালাত-ছিয়াম, হজ্জ-যাকাতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং ইবাদত মুমিনের সমগ্র জীবন পরিব্যাপ্ত। জীবনে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে খাওয়া-পরা, জীবিকার প্রয়োজনে পেশাগত কাজ, আত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক রক্ষা, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাষ্ট্রীয় সকল কাজ ইবাদত হতে পারে যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশনা মোতাবেক তা সম্পন্ন হয়। পক্ষান্তরে কুরআন-হাদীছের নির্দেশনার বাইরে কোন ইবাদত করলেও তা কবুল হয় না। কোন ছওয়াব মেলে না। কারণ ইবাদত কেবল কতগুলি আনুষ্ঠানিকতার নাম নয়; বরং জীবনের সকল কাজে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর আনুগত্য ও রাসূলের অনুসরণই হচ্ছে ইবাদত। কিন্তু বর্তমানে মানুষ ইবাদতকে নির্দিষ্ট কিছু আনুষ্ঠানিকতার ফ্রেমে আবদ্ধ করে ফেলেছে। এটা ইবাদত সম্পর্কে অজ্ঞতা ও ভুল ধারণার নামান্তর। কাজেই ইবাদত সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে এবং তা সঠিকভাবে আদায় করতে জ্ঞানার্জন করা প্রয়োজন। কেননা মানুষকে মানবতার সর্বো”চ মার্গে পৌঁছতে, জীবনের সকল স্তরে উন্নতির শীর্ষে আরোহণ করতে যেমন জ্ঞানার্জনের কোন বিকল্প নেই, তেমনি ইবাদতকে যথাযথভাবে আদায় করতে, তাকে সার্বিক সুন্দর ও কবুলযোগ্য করতে জ্ঞানার্জন ব্যতীত দ্বিতীয় কোন রাস্তা নেই।