বোন আমার! হে আদর্শ প্রজন্ম গড়ার শিল্পী! আমার এ কলমের কালি সঁপে দিচ্ছি তোমার কোমল হাতে। সচ্ছ ইতিহাস ও নবীজীর হাদীস ভাণ্ডার থেকে কুড়িয়ে কুড়িয়ে। এগুলো প্রাণঢালা উপদেশমালা। কোনো ভেজাল নেই তাতে। আল্লাহর কাছে আমার নিবেদন- আল্লাহ যেনো তোমাকে হেফাযতে রাখেন। নিরাপদে রাখেন। উত্তম জীবনসঙ্গী দান করেন কিংবা জীবনসঙ্গীকে উত্তম আদর্শবান বানিয়ে দেন। মনের তামান্না! তুমি হও এ যুগের আয়েশা- খাদিজা। ফাতেমা-হাজেরা। সুমাইয়া-উম্মে উমারাহ। দেখবে তোমার জন্যও খুলে যাবে আসমানের সব দরজা। তুমি দোয়া করবে তা কবুল হবে। হাত উঠাবে তো রবের ভালোবাসা পাবে। যেখানেই থাকো তুমি আমাদের বোন। আমাদের উপদেশ গ্রহণ না করলেও। আমরা তোমাদের কল্যাণ চাই-সর্বাবস্থায়। দিবা-রাত্রি তোমার কল্যাণ চেয়ে হাত উঠাবো-আকাশের পানে। আসমানের ঠিকানায়। তুমি যখন অবহেলিত-নির্যাতিত তখন তোমায় টেনে ধরেছে রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তোমাকে পথ দেখিয়েছেন সত্য ও সঠিক পথের। মুক্ত করেছেন পাষণ্ড কামনীয়-লোভনীয়দের থাবা থেকে। এখন তুমি যদি আবার ফিরে যেতে চাও সেই পথে, তবে দুঃখ করা ছাড়া আর কী আছে করার এ অভাগাদের। তুমি দেখবে হযরত খাদিজা আয়েশা ফাতেমাকে, দেখবে উম্মে আম্মার আর উম্মে উমারাকে; জীবন তাঁদের কেমন কেটেছে ইসলাম আসার পূর্বে। আর কেনোইবা তাঁরা নিজেদের সঁপে দিয়েছেন প্রিয় নবীজীর পবিত্র হাতে। সেই ইতিহাস তোমাকে স্বরণ করিয়ে দিতে আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। তুমি যেদিন আলোর পথে উঠে আসবে এবং অন্যকেও ডাকবে সেদিন আমাদের মুখে হাঁসি ফুটবে। প্রাপ্তির হাসি। তৃপ্তির হাসি। বোন আমার! হে রানী! হে শ্রেষ্ঠ মানুষ গড়ার পুণ্যব্রতী! দেরী না করে এবার পাতা উল্টিয়ে একেক করে দেখো তোমাদের পূর্বসূরীদের। দেখো আর তাদের অনুভব করো কল্পনার শীতল চক্ষু দিয়ে। দেখো না, কেমন ছিলেন খাদিজা-ফাতেমা। তুমিও তো তাদের নিয়ে গর্ব করো। গর্ব করো বলেই তো তাঁদের নামের সাথে নাম মিলিয়ে রেখেছো তোমাদের নাম- খাদিজা-আয়েশা, ফাতেমা-হাজেরা, সুমাইয়া-রুকাইয়া। নিশ্চয় তোমার কল্যাণ কামনায় আল্লাহ আমাদের শ্রমকে বিনষ্ট করবেন না। এ শ্রম বৃথা যাবে না। ভরসা আল্লাহর কাছে। প্রাপ্তিও তাঁর হাতে। দোআ করি আল্লাহ তাআলা যেনো আমাদের সবাইকে সত্য ও সঠিক পথে অটল রাখেন। আমীন!