সম্পাদকের কথা হামদান লিল্লাহ, ওয়া সালামুন আলা রাসূলিল্লাহ। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন মসজিদে চেয়ারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, সঙ্গে বেড়ে চলেছে চেয়ারে বসে নামাজ আদায়কারীর সংখ্যাও। শুধু শহর নয়, গ্রাম অঞ্চল থেকে শুরু করে নিভৃত পল্লি বা অজপাড়া গাঁয়ের মসজিদেও চেয়ারের ছড়াছড়ি। গত এক যুগ আগেও চেয়ারের এমন যথেচ্ছা ব্যবহার চোখে পড়তো না। হাঁটু, কোমর বা শরীরের অন্য কোনো অঙ্গে সামান্য ব্যথা অনুভব করে ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে গেলে ডাক্তার বলে দেন- আপনি নামাজি ব্যক্তি হলে চেয়ারে বসে নামাজ পড়বেন। বেশি উঠাবসা করলে ব্যথা বৃদ্ধি পেতে পারে। বেচারা রোগী মানুষ, করবেও বা কী? এসব কারণে সামান্য ব্যথা হলেই এখন চেয়ারে বসে নামাজ আদায়ের প্রবণতা বেড়েই চলেছে। এ কারণে প্রায় মসজিদে চেয়ারও সংযুক্ত হচ্ছে কল্পনাতীতভাবে কাতারের মাঝখানে বা পাশে চেয়ার স্থাপন করার কারণে বিভিন্নভাবে মুসল্লিদের কাতারে যে মিলে দাঁড়ানোর কথা, তাতেও অনিয়ম দেখা দেয়। আবার কিছু লোক নিচে উপবিষ্ট, কিছু চেয়ারে, তাতেও কেমন যেন অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়। ফলে মসজিদের যে পরিবেশ তাতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। ঘটনা এখানেই শেষ নয়, কোথাও কোথাও চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করা নিয়ে রীতিমতো বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছে মুসল্লীগণ। এমনকি ইসলামী রীতিনীতির তোয়াক্কা না করে মনগড়া ফাতোয়া দিয়ে বিষয়টিকে আরো জটিল ও ঘোলাটে করা হচ্ছে। এ ধরনের আরো বহু কারণে মুসলমানরা উৎসুক হয়ে উঠেছেন চেয়ারে বসে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে শরিয়তের নীতি কী, তা জানতে।
বিদগ্ধ ফকিহ, বহু গ্রন্থের লেখক এবং ইসলামি জ্ঞানের নানা শাখায় তাঁর গর্বিত বিচরণ। অল ইন্ডিয়া ইসলামি ল বোর্ড এবং ইসলামিক ফিকাহ একাডেমি ইন্ডিয়ার জেনারেল সেক্রেটারি। তার পারিবারিক নাম নুর খোরশেদ। খালেদ সাইফুল্লাহ রাহমানী তার পরিচিত নাম। তিনি বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলায় ১৯৫৬ সনে জন্মগ্রহণ করেন। ফিকহি প্রজ্ঞার গভীরতা, ইসলামি চেতনার স্বাক্ষরতা, ফিকহের অভিধানতত্ত্বের বিজ্ঞতা এবং নতুন নতুন জিজ্ঞাসার ফিকহি সমাধান তার অনন্ত জ্ঞানের উজ্জ্বল উপমা৷ ফিকহি আলোচনা ও মতামতে তঁর অভিমত নিরঙ্কুশ ভারসাম্যপূর্ণ। তিনি মোঙ্গেরের জামেয়া রহমানিয়া থেকে স্নাতক করেন৷ পরে দারুল উলুম দেওবন্দে আবারো স্নাতক করেন৷ পাটনার ইমারতে শরইয়াহ থেকে ইফতা ও বিচারিক প্রশিক্ষণ নেন৷ দারুল উলুম সাবিলুস সালামে তিনি দীর্ঘ বাইশ বছর শিক্ষকতা করেন। তার রচিত গ্রন্থ ও প্রবন্ধের সংখ্যা অনেক। সবগুলো এখনো মুদ্রিত হয়নি। তবে বাংলায় অনূদিত হয়েছে কয়েকটি মাত্র। যেমন মানবতার নবী, হালাল-হারাম।