অসলো শান্তি চুক্তি অনুসারে একটি প্যালেস্টিনীয় প্রশাসন (পিএ) গঠিত হয়েছে বটে। কিন্তু ইজরাইলের অনুমতি ছাড়া তাদের এক চুল নড়াচড়া করার অধিকার নেই। একের পর এক দেওয়াল তুলে, চেকপোস্ট বসিয়ে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ইজরাইল। বছরের পর বছর। ওয়েস্ট ব্যাংকে প্যালেস্টিনীয় ভূখণ্ড দখল করে একের পর এক ইহুদি বসতি গড়ার কাজ চলছে। এসব বসতির ইহুদি বাসিন্দারা প্রত্যেকে সশস্ত্র। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর তিন সপ্তাহে এসব ইহুদিরা ওয়েস্ট ব্যাংকের প্যালেস্টিনীয়দের ওপর লাগাতার হামলা চালিয়েছে। নাৎসিপন্থি হিসেবে পরিচিত ইজরাইলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ বলেছেন, তিনি চান ওয়েস্ট ব্যাংক থেকে সব প্যালেস্টিনীয়কে বহিষ্কার করে সেখানে ইহুদি বসতি গড়তে। তিনি এমনও বলেছেন, প্যালেস্টিনীয়দের জন্য জর্ডান রয়েছে, সেখানেই তাদের চলে যাওয়া উচিত। হাতের তিন আঙুল গুণে বেজালেলের হুমকি, গাজাবাসীর সামনে এখন তিনটি পথ খোলা‘মরো, পালাও অথবা আমাদের বশ্যতা স্বীকার করো’। ইজরাইলি সাংবাদিক গিদিয়ন লেভির ভাষায়, ‘ওয়েস্ট ব্যাংকে যা হচ্ছে তা ইজরাইলিদের জাতিবিদ্বেষের নগ্ন উদাহরণ।’ গাজার অবস্থা ভয়ংকর। ঠিক এই অবস্থায় একজন প্যালেস্টিনীয়রা কী করতে পারে বা তার কী করা উচিত? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে আমেরিকার রেভল্যুশনারি লেফট রেডিও। সাম্প্রতিক এক পডকাস্টে সঞ্চালক ব্রেহট ও’শিয়া স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘আমি হলে হাতের কাছে যা পেতাম, তা নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়তাম।