বিবেকশূন্য আবেগ-মাত্র জগত অচল। আবেগহীন শুধুই বিবেক; জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ। আবেগ-বিবেকের সমন্বয়ে সুখের একটি র্পূণ জীবন। আবেগী মেয়েটি কঠিন শব্দে বায়না ধরে ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ শহর ছাড়ার। আবেদন করে নির্জন নিহারিকা নিস্তব্ধ পর্বতাঞ্চলে বসত গড়ার। সুখের লহরে ভাসা ইসলামি আইনে শাসিত রাজ্যে নিয়ে যেতে হবে তাকে । যেতেই হবে। যাবে। এটাই তার সমাপ্ত বাক্য, শেষ আবদার এবং কঠিক শর্ত। বিবেকবান ছেলেটি আবেগি মেয়েটির আবেগ ভোলাতে সাময়কি অভয় দেয়। বলে-সুখ-রাজ্যের সন্ধানে নিয়ে যাবে; কিন্তু আপন সাহস এবং বাস্তব জীবনে ছেলেটি অসম্ভব ভীরু। ভীষণ দুর্বল। দোদুল্যমান স্থির চিন্তায় অনমনীয় ভাঁজ পড়ে। সহজ কোনো পন্থা পায় না খুঁজে। কোথায় নিয়ে যাবে তাকে? কার ধারে আশ্রয় চাইবে! সুখ-রাজ্যের সন্ধান কে দেবে? বললেই কি আর কুরআনি সমাজের দেখা মেলে! কোথায় সেই সুখ-পাহাড়? কোথায় তার স্বপ্নে সাজানো মনোহারত্বি সুখ-রাজ্য? আদৌ সুখ-পাহাড় নামে অস্তিত্ব আছে কোনো! ছেলেটি দিশেহারা। চিন্তাগম্য। অজানা তার আগামীর দুরধগিম্য পথ। তবুও মেয়েটির শক্ত আবদার নিয়ে তাকে যেতেই হবে। আবেগের দরিয়ায় পাল ছেড়া আবেন; মানতেই হবে। অজানা উদ্দেশ্যে আবেগি মেয়েটির হাত ধরে রওয়ানা হয় দুজন। সুখের আসায় পাড়ি জমায় এ দেশের প্রান্ত-জেলায়। রাঙামাটি। হাওয়ার সাথে স্বপ্নের সুর টেনে লম্বা করে সময়। বসবাস হয় ছোট্ট কুঠুরিতে। এরপর? এরপর একদিন জীবনের গতিপথ রুদ্ধ। বাঁধাহীন জীবনরে র্সাবভৌম থমকে দাঁড়ায়। খুঁজে কি পায় তবে সুখ-রাজ্য? দেখা হয় ফের অবস্থিত মুসলমি বসতির সাথে? গল্প এগুতে থাকে নানান গতিছন্দে। জীবনটা এখানেই বিধ্বস্ত নয়, দখোর আরো বাকি আছে। ১ রাজ্যটা সুখের। গোনাহমুক্ত শান্তির একটি সৌর্বণ শহর। ফেতনাহীন পাহাড়ি কুঞ্জ। আহ্লাদে ভরা সুখচর। প্রণয়াসিক্ত অঞ্চল। নাম তার সুখ-পাহাড়। এখানে অবস্থতি মুসলমানগণ চলে কুরআনি বিধানে। কুরআনি আইনে। সহজ সাবলীল সত্য বলে সবাই। ইসলামি বিধান গ্রহণ করে স্বতঃর্স্ফূতভাব। অমুসলমিরাও মুসলমানদের পথরোধে ব্যর্থ। ইসলামি আইনে শাসিত মানবতার ছোট্ট বসতি। কুরআনি আইনের বিচার, হুদুদ, কিসাস, সবই থাকে তাদের জীবনীতে। ফুটে ওঠে মুসলমি সামরাজ্যের হারানো ঐতহ্যি। সহসাই পাহাড়ি নেতার জীবনে আসে অকল্পতি নাটকরে নব ধারা। দেখা দেয় মনস্তাপ। ধরা দেয় সুখী সংসার-জীবনে কৃষ্ণ বর্ণের বেদনাবহ ছায়া। ঢেকে যায় মেঘে ধরা। তবুও ভীরু হয় না জীবন। এই বুঝি শেষ! একেবারেই সমাপ্ত। নাহ! আরো বাকি অনেক কথা। খুনসুটি জীবন। আনন্দের রাত। সাথি হয় কিছু উপদেশমালা। বিষাদ আর বিরোধ তৈরিতে অমুসলমিরা এগিয়ে। সরকারের চাওয়া এবার মুসলমি উৎখাত। র্পাবত্যাঞ্চল আসবে সরকারের দখলে। পিছিয়ে পড়ে না পাহাড়ি বাদশাহ। কুরআনি আর্দশ বুকে লালন করে পরার্মশ বৈঠকে বসে সেনাবাহিনির সাথে। সজাগ দৃষ্টি ফেলে পর্বতে অবস্তিত শান্তিবাহিনী। সমাপ্ত-পরার্মশে পাহাড়ি বাদশাহর পত্র। মুসলমি-অমুসলমিদের অধিকার নিরনিরসন আর হারানো সব রোমান্স নিয়েই এবারের অভাবনীয় আয়োজন-সুখ রাজ্যের সন্ধানে।