নাজনীন তৌহিদ সাহিত্যের সব অঙ্গনেই সমান ভাবে পদচারণা করছেন।অনেকে বলেন তিনি নাকি সব্যসাচী।কখনো কাব্যের মাটিতে বুনে জান কবিতার ফসল, কখনো জীবনের গল্পে রেখে জান আঁজলা ভরা জল, কখনো উপন্যাসের পাতায় ছড়িয়ে দেন স্মৃতি ভেজা উষ্ণ মমতা। আর এ ভাবেই জীবনের সাথে মিশে থাকা খুবই সাধারণ বিষয়গুলো হয়ে যায় অসাধারণ, তারপর হয়ে ওঠে জীবনের একেকটি পাণ্ডুলিপি। নাজনীন তৌহিদের জম্ম ১৯৭২ এর ৬ জুলাই বাগেরহাট জেলার ছোট জিলবুনিয়া নামক গ্রামে।মো:সামছুল আলম এবং মনোয়ারা আলমের পাঁচ সন্তানের মধ্যে প্রথম সন্তান তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিতা এবং দু সন্তানের জননী।স্বামী মো: তৌহিদুল আকবর একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। কৈশোর থেকে তার লেখার জীবন শুরু। এ পর্যন্ত তিনি বহু কবিতা, ছোটগল্প, স্মৃতিকথা, ভ্রমণ বিষয়ক গল্প, উপন্যাস, নাটক, রম্য রচনা,রান্নার রেসিপি , ফিচার এবং কলাম লিখেছেন। তার লেখা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং অন লাইন পোর্টালে নিয়মিত ছাপা হচ্ছে। লেখালেখি ছাড়াও তিনি একজন আবৃত্তি শিল্পী,চিত্র শিল্পী এবং রন্ধন শিল্পী।১৯৯৯ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতারে উপস্থাপনা, আবৃত্তি, আলোচনা, ভ্রমণ সহ বহু বিষয়ে অংশগ্রহণ করে আসছেন।সক্রিও আছেন টেলিভিশনের পর্দায়ও। গল্প , কবিতা, রান্নাবান্না ও ভ্রমণ নিয়ে তার নিজের নামে দুটি ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে। গ্রন্থ মেলায় প্রবেশ ২০১৪ সাল থেকে। উল্লেখযোগ্য বই- শাল পিয়ালের বনে (ভ্রমণ), লাল বড়ুজান (উপন্যাস),কয়েদী নাম্বার ৬৬৬৬(উপন্যাস)।ঠিকানা কোথায় (গল্প গুচ্ছ),জন্ম থেকে জ্বলছি ( গল্প গুচ্ছ) ,চাইনিজ রেসিপি (রান্না), রান্নাবান্না(রান্না), শিশু কিশোরদের জন্য গল্পের ঝুড়ি,গপ্প সপ্প এবং ভূতো মামা সিরিজের কয়েকটি কিশোর উপন্যাস রয়েছে ।যৌথভাবে প্রাকাশিত বেশকটি কাব্যগ্রন্থ থাকলেও। পিঞ্জর (কাব্যগ্রন্থ) তার প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ যা বের হলো এবারের গ্রন্থ মেলায় ।আশাকরি কবিতা প্রেমিরা নতুন কিছু খুঁজে পাবেন ।