আদি ও অন্তিমের সাক্ষাৎঃ আদি ও অন্তিমকে অতীত এবং ভবিষ্যতে না রেখে তিনি তাঁর কবিতায় বর্তমানে তাদের সাক্ষাৎ ঘটিয়েছেন। ধর্ম, দর্শন, ইতিহাস, প্রকৃতির অন্তর্নিহিত রূপ ও বৈচিত্র্যসমূহ এক সুতায় গাঁথার চেষ্টা করেছেন। বিষয়বস্তু পরিবর্তনের সাথে সাথে বারবার বদলে গেছে তাঁর ব্যকরীতি, উপমা, প্রতীক এবং রূপকের ব্যবহার। ঘটনা প্রবাহকে অনুধাবন ও বিশ্লেষণ করার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি, পর্যবেক্ষণ, পরিবীক্ষণ, একই সাথে জীবন, কর্ম এবং মনের বহুমাত্রিক বিশ্লেষণ তাঁর কবিতাকে শাশ্বত সত্যের দিক নিয়ে যায়। মোহ, সংস্কার এবং সংকীর্ণতা মুক্ত মমত্ব শূন্য ক্রম অনুসন্ধান তাঁর কবিতার মূল ও শিকড়। কবিতার কাঠামো নির্মাণে বৈচিত্র্যতা লক্ষণীয়। বিস্ময়করভাবে তিনি অন্তঃকরণে মরমিবাদী কিন্তু প্রকাশ ও বিকাশে একজন পরাবাস্তববাদী। অথচ উভয় দর্শন তাঁর ভেতর দ্বন্দ্ব তৈরি করে না। বরং এক অনবদ্য ঐক্যসূত্রে ক্রম চলমান অবিনশ্বর প্রাণকে ধারণ ও অনুসরণ করে। তিনি সময় বিভাজনকে চিন্তা থেকে বাদ দিয়ে অতীত এবং ভবিষ্যতকে বর্তমানের অপসৃয়মান এবং সম্প্রসারণ রূপ হিসাবে অবলোকন করেন। একটা কালই তার কবিতায় ক্রিয়াশীল আর তা হলো সর্বত্র স্থায়ী রূপে অবস্থান নেয়া এক অবিনশ্বর বর্তমান।