মানুষের ব্যস্ততার এখন কোনো শেষ নাই। সব মানুষই কোনো না—কোনোভাবে ব্যস্ততার ভেতর দিয়ে সময় অতিবাহিত করে। এমনকি বিছানায় গিয়েও মুঠোফোন হাতে নিয়ে মানুষ ব্যস্ত সময় পার করছে। অবশ্য এটাকে ব্যস্ততা নাকি অলস সময় পার করা, কী বলা যায়— এ—নিয়ে মতভেদ হতে পারে। এই ব্যস্ততার ভেতর বইপাঠের জন্য সময় বের করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বা এভাবেও বলা যায়, বইপাঠের আগ্রহই আসলে দিনে দিনে হয়ে যাচ্ছে। এরকম হচ্ছে কেন? কেন বই পড়ার প্রতি মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে এ—নিয়ে বিস্তর আলোচনা হতে পারে। বইবিমুখতার কারণে সমাজজীবনে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কী না, যদি এরকম কোনো প্রভাব সত্যিই পড়ে থাকে, তাহলে এ বিষয় নিয়ে নিয়ে বিস্তর আলোচনা আলোচনা হওয়া দরকার। কিন্তু সে—রকম কোনো উদ্যোগ চোখে তেমন পড়ছে না। বইপাঠে মানুষকে আগ্রহী করার ব্যাপারেও যথেষ্ট তৎপরতা নাই। দেশের বড়ো বড়ো পাঠাগারগুলো চাকরির পরীক্ষা—প্রস্তুতির চর্চাকেন্দ্র হয়ে উঠছে—এরকম খবর আমরা পত্রিকা মারফত দেখতে পাই। এটা খুবই দুঃখজনক বিষয়। ইতোমধ্যে বইকথার পাঁচটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের চেষ্টা থাকে প্রতি সংখ্যায়ই বহুল পঠিত বইয়ের আলোচনার পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত কমপঠিত এবং নবীন লেখকদের বই নিয়ে আলোচনা ছাপতে। এই ধারাবাহিকতা এ—সংখ্যায়ও রয়েছে। আমাদের এ—প্রয়াস আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। বইকথার ষষ্ঠ সংখ্যার গদ্য অংশে প্রকাশিত হয়েছে চারটি গদ্য, বই আলোচনা অংশে প্রকাশিত হয়েছে আটটি বই নিয়ে আলোচনা ও ছোটোকাগজ অংশে প্রকাশিত হয়েছে একটি ছোটোকাগজ নিয়ে আলোচনা। এ—সংখ্যার লেখক, প্রচ্ছদশিল্পী ও যারা কাছে থেকে বইকথা প্রকাশে উৎসাহ প্রদান করছেন— সবাইকে জানাই অশেষ ধন্যবাদ। বইকথার বর্তমান সংখ্যাসহ বেশিরভাগ সংখ্যার প্রচ্ছদ এঁকে দিয়েছেন শিল্পী নির্ঝর নৈঃশব্দ্য। তার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা। আর পাঠকদের জন্য অফুরান ভালোবাসা। সকলের মঙ্গল হোক।