বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য: ১- প্রতিটি হাদীসে সংখ্যাযুক্তকরণ। ২- মুরাজাআতুন নুসূস। অমুদ্রিত ও মাফকুদ (যেমন, সহীহ ইবনে সাকান) কিছু হাদীসের কিতাব ছাড়া বাকী কিতাবসমূহ মুরাজাআত করার চেষ্টা করা হয়েছে। ৩- মাসদারে আসলীর হাদীসের তাখরীজ। যেসব হাদীস মুসান্নিফ আসহাবে তাখারীজ থেকে নিয়েছেন, সেসব হাদীসের তাখরীজ মাসদারে আসলী থেকে বের করে [ ] এই বন্ধনীর মধ্যে যুক্ত করা হয়েছে। ৪- তাসহীহুন নুসূস। আসহাবে তাখারীজ থেকে নেয়া কোনো হাদীস বা হাদীসের শব্দ যদি মাসদারে আসলীর হাদীসের সাথে হুবহু শাব্দিক মিল না থাকে, সে ক্ষেত্রে মাসদারে আসলীর হাদীসের শব্দ রেখে নীচে টিকায় “আসল”-র শব্দ দেওয়া হয়েছে। যেন পাঠক বুঝতে পারে কোনটা মুসান্নিফ রহ.-র চয়ন করা। ৫- কুতুবে সিত্তার ক্ষেত্রে হিন্দি মুদ্রণকে সামনে রেখেছি। কিছু কিছু স্থানে সহীহাইনের ক্ষেত্রে সুলতানিয়া , ও অন্য কিতাবের ক্ষেত্রে আধুনিক মুদ্রণকে সামনে রাখা হয়েছে। ৬- বাদ পড়া আলফায সংযোজন। হাদীস থেকে বাদ পড়া এক বা ততোধিক শব্দ (যা ছাড়া অর্থ পূর্ণ হয় না), মুরাজাআতের পর তা [ ] এই বন্ধনীর মধ্যে সংযোজন করা হয়েছে। যেন পাঠক বুঝতে পারে তা আমাদের পক্ষ থেকে বর্ধিত। ৭- হাওলায় ‘বাব’ ও ‘হাদীসের নাম্বার’ দেয়া হয়েছে। মুসান্নিফ রহ. সব হাওলায় শুধু /পৃষ্ঠা নাম্বার উল্লেখ করেছেন। মুরাজাআতের সুবিধার্তে আমরা ‘বাব’ ও ‘হাদীস নাম্বার’ উল্লেখ করেছি। (যদি হাদীস নাম্বার না থাকে)। ৮- হাদীসের হুকুম মুরাজাআত। ইমামদের পক্ষ থেকে দেয়া হাদীসের ‘সহীহ’ ‘যয়ীফে’-র হুকুম তাদের কিতাব থেকে মুরাজাআহ করা হয়েছে (বা তাদের থেকে যারা নকল করেছে)। ‘বাব’ ও ‘হাদীসের নাম্বার’সহ। ৯- হাদীসের আলফায নির্ধারণ। যে হাদীস একাধিক কিতাব থেকে এনে, হাদীসের আলফায কোন কিতাবের তা নির্ধারণ করেননি, তা আমাদের পক্ষ থেকে নির্ধারণের চেষ্টা করা হয়েছে। ১০- হাওলার ভুল সংশোধন। মুসান্নিফের দেয়া হাওলা মুরাজাআতের পর সামান্য কিছু স্থানে ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয়েছে (এটা এ কারণেও হতে পারে যে, মুসান্নিফ রহ.-র কাছে যে নুসখা ছিল তা আমাদের কাছে পৌঁছায়নি। কিংবা পরবর্তী কোনো নাসেখের ভুল) আমরা সেসব সংশোধনের চেষ্টা করেছি। ১১- ‘ইমলা’ ও ‘তারকীমের’ আধুনিক নিয়ম অনুসরণ। ১২- কঠিন শব্দের ‘তাশকীল’।