মুজিবকে কারা হত্যা করেছিল? জেলহত্যার রহস্য কী? কী ছিল জিয়া হত্যার নেপথ্যে?
১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালিরা স্বাধীনতার জন্য যখন পশ্চিম পাকিস্তানের নৃশংসতার বিরুদ্ধে লড়ছিল, তা সারাবিশ্বে আলোড়ন তোলে। বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ বাংলাদেশকে সমর্থন দেয়। অথচ এই জাতিটাই স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র দুই বছরের মাথায় বাংলাদেশের সাধারণ জনতা রাষ্ট্রের নির্মাণের দায়িত্বে থাকা দুর্নীতিগ্রস্থ, ক্ষুদ্রমনা, লোভী কিছু মানুষের দ্বারা প্রতারিত হয়। জনতার ক্ষোভ আর অসন্তোষ যখন চরমে, দেশ যখন অস্থিতিশীল ঠিক তখনই বাংলাদেশ স্বাধীনতার ভিত্তিপ্রস্তর যার হাত ধরে নির্মিত, সেই শেখ মুজিবুর রহমান নিজ বাড়িতে ক্রুদ্ধ সেনাবাহিনীর একদল তরুণ মেজরের হাতে নিহত হন। শেখ মুজিবের পর প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসেন খন্দকার মোশতাক, যার নির্দেশে জেল হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়, আর মোশতাকের নাম ইতিহাসের জঘন্যতম বেঈমানের নাম হিসেবে ঘৃণিত হয়ে যায়। মোশতাকের পর প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসেন মেজর জিয়া, তার আমলে বিশটা বিদ্রোহ আর সেনা অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা দেখা যায়। একুশতম বিদ্রোহে তিনি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হন। এই বইয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরের দশ বছরের নগ্ন, নির্মম সত্য তুলে আনা হয়েছে, সাথে আনা হয়েছে এই ইতিহাস নিয়ে তৃতীয় বিশ্বের বিভ্রান্তিকে।
নেভিলে অ্যান্থনি মাসকারেনহাস (ইংরেজি: Neville Anthony Mascarenhas; জন্ম: ১০ জুলাই, ১৯২৮ - মৃত্যু: ৬ ডিসেম্বর, ১৯৮৬) দক্ষিণ এশিয়ার বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক ছিলেন। তাঁর পুরো নাম নেভিল অ্যান্থনি ম্যাসকারেনহাস। তিনি ভারতের গোয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং পড়াশোনা করেন পাকিস্তানের করাচিতে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময় তিনি বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও অন্যান্য ঘটনা পর্যবেক্ষণপূর্বক বিশ্ববাসীর কাছে সর্বপ্রথম উন্মোচিত করেন। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে লিখেন যা বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করে তুলতে সাহায্য করেছিল। এ বিষয় নিয়ে তিনি বইও লিখেছেন। তিনি ব্রিটেনের দ্য সানডে টাইমস পত্রিকায় ১৪ বছর কাজ করার পর ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে জীবন অতিবাহিত করেন।