জ্ঞান-বিজ্ঞানের সর্বক্ষেত্রে পরিসংখ্যান সম্বন্ধীয় জ্ঞান ও এর প্রয়োজন সর্বজনস্বীকৃত ও অনস্বীকার্য। রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয়াদি ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ ছাড়াও আধুনিক পরিসংখ্যানের পরিসর বা ব্যাপ্তি প্রাকৃতবিজ্ঞান, চিকিৎসাবিজ্ঞান, শিল্প, বাণিজ্য, কৃষি, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ সকল গবেষণায় অত্যন্ত ব্যাপক। এছাড়া পরিসংখ্যানের ব্যাপক ও সঠিক প্রয়োগ ছাড়া অনেক বিষয়েই উচ্চতর শিক্ষা লাভ ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা প্রায় অসম্ভব। আমি মনে করি, লেখকের স্বার্থকতা তখনই পূর্ণতা পায় যখন তার বইটি পড়ার সময় ছাত্র-ছাত্রীরা উপলব্ধি করে, লেখক অনুপস্থিত থেকেও যেন উপস্থিত আছেন। তাই শ্রেণিকক্ষে যেভাবে পড়াই, ঠিক সেভাবেই বইটিতে সবকিছু উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। বইটির প্রকাশ ও সংস্করণের পর সম্মানিত শিক্ষক ও স্নেহের শিক্ষার্থীদের নিকট হতে ব্যাপক প্রশংসা ও অভিনন্দন পেয়েছি। কেউ কেউ পরামর্শ দিয়েছেন, গঠনমূলক সমালোচনাও করেছেন। এসব পরামর্শ ও সমালোচনার আলোকে বইটিতে বিদ্যমান ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন করে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি সংযোজন করে এনসিটি অনুমোদিত সিলেবাসের আলোকে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক হিসেবে রচনা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অনুশীলনের সুবিধার্থে বইটিতে বিবিধ তথ্য, পরিসাংখ্যিক বিষয়বস্তু, সূত্রের বিবৃতি ও সূত্র প্রতিপাদন সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সর্বোপরি পরিবর্তিত সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতিকে বিবেচনায় রেখে বিষয়বস্তুর উপস্থাপনায়, ক্ষেত্রবিশেষে পরিবর্তনও আনা হয়েছে। প্রতি অধ্যায়ে বিষয়বস্তুর শেষে বক্স আকারে অনুশীলন সহায়ক তথ্যাবলি (জেনে রাখো, চিন্তা করে উত্তর দাও, স্মরণীয় বিষয় ও কাজ) সংযোজন করা হয়েছে। এছাড়া প্রাসঙ্গিক তথ্যাবলি ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক বৈচিত্র্যপূর্ণ গাণিতিক সমস্যা এ বইটিতে সন্নিবেশ করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।