ভারতবর্ষের সাথে প্রাচীনকাল থেকেই ইউরোপীয় বণিকদের জল ও স্থলপথে ব্যবসায় বাণিজ্যের যোগাযোগ ছিল। ঐতিহাসিক স্ট্রাবো, হেরোডোটাস এবং মেগাস্থিনিসের বিবরণী থেকে এ অঞ্চলের বিত্তবৈভব এবং অতুল ঐশ্বর্য সম্পর্কে জানা যায়। আর এ অতুল ঐশ্বর্যের আকর্ষণই বিদেশি বণিকদের ভারতবর্ষে আসতে আগ্রহী করে তোলে। মধ্যযুগে ইউরোপ থেকে মধ্যপ্রাচ্য এবং ভারত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যে বাজ্যিপথ ছিল তা ইউরোপীয় এবং আরব বণিকদের মূল ক্ষেত্র ছিল। স্বর্ণ, হীরা-মানিক, দারুচিনি, এলাচ ইত্যাদি পণ্য প্রাচ্য দেশ (ভারতবর্ষ, শ্রীলঙ্কা, মালয়, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি) থেকে ইউরোপ যেত এবং বাংলা থেকে যেত জগদ্বিখ্যাত মসলিন। ফলে ঐশ্বর্যমণ্ডিত বাংলার একটি চিত্র বিদেশিদের মনে মুদ্রিত হয়েছিল। ১৪৫৩ খ্রিষ্টাব্দে তুর্কি শাসকরা কনস্টান্টিনোপল (ইস্তাম্বুল) দখল করার পর থেকে তারা ভূমধ্যসাগর এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। তখন পাশ্চাত্যের দেশগুলো (পর্তুগাল, স্পেন, ব্রিটেন, ডেনমার্ক, ফরাসি প্রভৃতি) একটি বিকল্প বাণিজ্যপথের সন্ধান করছিল। আর এ প্রচেষ্টা থেকেই পনেরো শতকে শুরু হয় ভৌগোলিক আবিষ্কার এবং নৌপথে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। এক্ষেত্রে পর্তুগাল ও স্পেনের নাবিকগণ ভারতবর্ষে আসার জন্য প্রথম প্রচেষ্টা চালান
প্রফেসর মোঃ গোলাম মোস্তফা (বি.সি.এস. সাধারণ শিক্ষা) অবসরপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান, দর্শন বিভাগ, সরকারি কারমাইকেল কলেজ, রংপুর; ভূতপূর্ব উপাধ্যক্ষ, সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ, নড়াইল, সহযোগী অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, সরকারি কে. সি. কলেজ, ঝিনাইদহ, প্রাক্তন অধ্যক্ষ, লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মহিলা মহাবিদ্যালয়, লোহাগড়া, নড়াইল ।