আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কুরআন মাজিদকে সর্বকালের, সর্বযুগের, সর্বলোকের জীবন বিধান ও মুক্তির সনদরূপে পাঠিয়েছেন। আল-কুরআন মানুষের প্রয়োজনীয় সর্বপ্রকার নিয়মাবলি নির্দেশনা ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের মৌলিক তত্ত্বে ও তথ্যাদিতে পরিপূর্ণ। সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর অবতারিত সর্বশ্রেষ্ঠ ঐশীগ্রন্থ পবিত্র আল- কুরআন। মানবজাতির মুক্তির সনদ, যুগজিজ্ঞাসার শ্রেষ্ঠ দলিল এবং রাসুল (সা.)-এর প্রধান মুজিযা আল-কুরআনের বৈশিষ্ট্য, মাহাত্ম্য, অসংখ্য নাম, তিলাওয়াতের ফযিলত, শিক্ষার গুরুত্ব এবং সংকলন-সংরক্ষণের ইতিবৃত্ত, তাৎপর্য ও আবেদন অত্যন্ত ব্যাপক, সর্বজনীন ও সর্বকালীন। তাই এ আসমানি কিতাব যুগে যুগে পথহারা মানুষকে দিয়েছে সঠিক- সরল পথের দিশা। পবিত্রতা ও শুদ্ধতার শুভ্র আলোকে আলোকিত করেছে গোটা জগৎ। বর্তমান সংকটময় পৃথিবীতে আল- কুরআনের অনুসরণই পারে সকল সমস্যার সমাধান করে কল্যাণময় বিশ্ব গড়তে। এ অধ্যায়ে আল-কুরআনের পরিচয়, বৈশিষ্ট্য, মাহাত্ম্য, নামকরণের তাৎপর্য, কুরআন শিক্ষার গুরুত্ব, নাযিলের প্রেক্ষাপট, সংরক্ষণ ও সংকলনের ইতিহাস, আদর্শ সমাজ গঠনে আল-কুরআনের ভূমিকা এবং সূরা বাকারার ১-৫৯নং আয়াতের অর্থ, অনুবাদ ও শিক্ষা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।