সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও এক্ষেত্রে ছড়া-কবিতা আমার প্রথম প্রেম, প্রধান ভালোবাসা। এই ভালোবাসা থেকেই আমার ছড়া করা তথা ছড়া চর্চা। আমার এই ছড়ার জার্নিতে গেল প্রায় তিন দশক আমি অব্যাহতভাবে লিখছি। পাইছি পাঠকের ভালোবাসা। এসময়ে দৈনিক, সাপ্তাহিক, লিটলম্যাগসহ নানা সাময়িকীতে আমার অজস্র ছড়া প্রকাশ হইছে। প্রকাশ হইছে অনেক ছড়ার বই। এরমধ্যে শিশুতোষ ছড়ার পাশাপাশি সমাজ-রাজনীতি মনস্ক সমকালীন ছড়াসহ আছে আরো নানা ধারার ছড়া। আমার ছড়ায় যথাসম্ভব নিজের জবানে, নিজের সমাজ ও সময়ের কথা বলতে চেষ্টা করছি আমি। এইসব ছড়ার ১৪টা বই নিয়া ২০১৭ সালে ‘জগলুল সমগ্র’ নামে প্রকাশ হয় আমার ছড়া সমগ্রের প্রথম খণ্ড। এরপর গেছে প্রায় ৭ বছর। এরমধ্যে প্রকাশ হইছে আরো বেশ কিছু ছড়ার বই। ফলে পুরান ও নুতুন এইসব বইকে আরো একটা সমগ্রের মাধ্যমে একত্রিত করার তাগিদ অনুভব করি। ইতিমধ্যে রক্তস্নাত জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ নুতুন এক স্বাধীনতা অর্জন করে। এই স্বাধীনতার সূচনা লগ্নে যুগপৎ সেই তাগিদ ও অনুরোধের প্রেক্ষিতে আলোর মুখ দেখতে যাইতেছে ‘জগলুল সমগ্র ২’ নামে আমার ছড়া সমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড। এই সংকলনে শিশুতোষসহ নানা ধারার ৯টা বই ঠাঁই পাইছে
জগলুল হায়দার। জন্ম তারিখ ও স্থান : ৮ অক্টোবর ১৯৬৫, শুক্রবার। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে। বেড়ে উঠেছেন : ঢাকা, নরসিংদী, গাজীপুর ও সেকেন্ড হোম ভৈরব শহরে। মা : জাহানারা বেগম। বাবা : মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী জি. কে. এম. আব্দুল লতিফ। প্রথম স্কুল : দাদার প্রতিষ্ঠিত বড়খাল সরকারি প্রাইমারি স্কুল। পরিবার : স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে। প্রথম বই : চুম্বক (অণুকাব্য), ১৯৯৩। প্রথম ছড়ার বই : বাংলার মুখ বাংলার মিথ, ২০০৩। প্রকাশিত বই : ৬০টি। লেখালেখির অন্য ক্ষেত্র : কবিতা, রম্য, প্রবন্ধ, গল্প, নাটক ও গান। অন্য পরিচিতি : বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত গীতিকার। সংগঠন : পরিচালক, বাংলাদেশ ছড়া একাডেমি। সম্পাদক, ম্যাজিক লণ্ঠন। প্রধান সমন্বয়ক, শিল্পঘর। পরিচালক, ভিশন থিয়েটার। পুরস্কার : রেবতী বর্মণ সম্মাননা স্মারক, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মৃতি পদক, পদক্ষেপ সাহিত্য পুরস্কার, শ্রীপুর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার।