সায়াকা কুরাহাশির জীবন আর দশজন সাধারণ মানুষের মতন নয়। শৈশবের কোনো স্মৃতিই তার নেই। বিশেষ করে পাঁচ বছর বয়সের আগের কোনো ঘটনা মনে করতে পারে না সে। ছোটবেলার যে ছবির অ্যালবামগুলো আছে, সেগুলোর কোনোটাতেই হাসতে দেখা যায় না ওকে। এই রহস্য এতদিন বুকের মধ্যে একাই বয়ে বেরিয়েছে সে। একদিন হঠাৎ করেই যেন পাল্টে যায় সায়াকা আটপৌরে জীবনের হিসেব-নিকেশ। বাবার মৃত্যুর পর তার ঘরে ওর নাম লেখা একটা খাম খুঁজে পায়। ভেতরে একটা চাবি ও একটা ম্যাপ। চাবিটায় অদ্ভুত দর্শন একটা সিংহের নকশা। হাতে আঁকা ম্যাপটার একপাশে ছোট্ট করে লেখা আছে অনেক দূরের একটা স্টেশনের নাম। প্রাক্তন প্রেমিকের শরণাপন্ন হয় সায়াকা। দু’জনে মিলে খুঁজে বের করে সেই জায়গা। একটা অদ্ভুত দর্শন বাড়ি দাঁড়িয়ে আছে সেখানেই। দেখলেই গা ছমছম করে ওঠে। দরজা-জানালা সব ভেতর থেকে বন্ধ। সাথে থাকা চাবিটা ব্যবহার করে ভেতরে ঢোকার পর অদ্ভুত একটা বিষয় খেয়াল করে দু’জন। সবগুলো ঘড়ি একই কাঁটায় স্থির হয়ে আছে। যেন ভেতরে থমকে গেছে সময়। সেখানে তারা খুঁজে পায় ছোট্ট একটা ছেলের ডায়রি। প্রথমে ভেতরের লেখাগুলো স্বাভাবিক মনে হলেও, ধীরে ধীরে পাল্টে যায় সেই ধারণা। রহস্যের জট খোলার বদলে ঘনীভূত হতে শুরু করে। সায়াকার তখনও জানা নেই, এই বাড়িতেই লুকিয়ে আছে তার স্মৃতি সমাধির রহস্য।
কেইগো হিগাশিনো (জন্ম: ফেব্রুয়ারি ৪, ১৯৫৮, ইকুনো ওয়ার্ড, ওসাকা, জাপান) একজন জাপানি লেখক প্রধানত তার রহস্য উপন্যাসের জন্য পরিচিত। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জাপানের রহস্য লেখকের ১৩ তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।