সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে সিরিয়ার নাম প্রথম সারিতে। তবে আজ তা রীতিমতো ধ্বংসস্তূপ, যুদ্ধের ভারে ক্লান্ত-শ্রান্ত প্রতিটি মানুষ। জালিমদের শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে জনগণের, বিশেষ করে বেকার তরুণদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ থেকে শুরু হয় এই সংঘাত। তারুণ্যের সেই প্রতিবাদ দমাতে হিংস্র হয়ে ওঠে বাশার প্রশাসন ও তার সহযোগীরা। এ পরিস্থিতির সুযোগ নেয় সুযোগসন্ধানী শক্তি-পরাশক্তিরা। কেউ কেউ বাশারের পাশে দাঁড়ায়। সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় তাঁর প্রতি। কেউ-বা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে। এভাবেই আঞ্চলিক শক্তি থেকে শুরু করে বৈশ্বিক পরাশক্তিগুলো জড়িয়ে পড়ে সিরিয়া যুদ্ধে। ফলে রক্তাক্ত হয় রাজপথ। অশান্তি ও সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। এরপর শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। প্রাণ যায় কয়েক লাখ মানুষের। দেখা দেয় ইতিহাসের ভয়াবহতম মানবিক সংকটের। এখানে ইসলামের বাণী মুছে ফেলতে চেয়েছিল জালিম আমেরিকা ও দুর্ধর্ষ শিয়ারা। কিন্তু তুর্কি বীর রজব তাইয়েব এরদোয়ানের সাহসী পদক্ষেপের সামনে পিছু হঁটে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলো। থমকে দাঁড়ায় রাশিয়া। গুটিয়ে যায় ইরান। আধুনিক সিরিয়ার ইতিহাস ও গৃহযুদ্ধের একটি বাস্তব কাহিনিকে ঘিরে লেখা হয়েছে ‘আল্লাহকে সব বলে দেব’ উপন্যাস।