রাতের আকাশে আলোকবিন্দু হয়ে ফুটে থাকা প্রতিটি নক্ষত্রই যেন শতসহস্র রহস্যের আধার। এই নক্ষত্রগুলো কি নিঃসঙ্গ? নাকি আমাদের সূর্যের মতো এদেরও রয়েছে সাজানো-গোছানো সংসার? নক্ষত্রগুলোকে ঘিরে যদি সত্যিই গ্রহের অস্তিত্ব থাকে, তাহলে সেগুলোর বৈশিষ্ট্যই-বা কী? আর এগুলোর জন্মই-বা কীভাবে? একটা সময় প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করা ছিল প্রায় অসম্ভব। তবে মানুষের অসাধ্য যে কিছু নেই, তা আবারও প্রমাণিত হয় যখন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা নব্বই দশকে আমাদের সৌরজগতের বাইরে প্রথম গ্রহটি খঁুজে পান। কিন্তু আমাদের চেনাজানা গ্রহগুলোর সঙ্গে একে মেলানো যাচ্ছিল না। ফলে এই অদ্ভুত গ্রহটিকে অনেকে ডাকতে শুরু করেন ‘দ্য ইম্পসিবল প্ল্যানেট’ নামে। তবে কি গ্রহ নিয়ে বিজ্ঞানীদের এত দিনের জানাশোনার সবটাই ভুল ছিল? তারপর পাঁচ হাজারের বেশি এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কারের পরও এদের অনেক রহস্য এখনো অধরাই রয়ে গেছে। দ্য প্ল্যানেট ফ্যাক্টরি বইয়ে জ্যোতিঃপদার্থবিদ এলিজাবেথ টাস্কার গ্রহবিজ্ঞানের এমন নানান রহস্য তুলে ধরেছেন। সেই অসাধারণ বইটি অবলম্বনেই লেখা হয়েছে এক্সোপ্ল্যানেট: বহিঃসৌরগ্রহের খোঁজে। এ বই অনুসন্ধিৎসু পাঠককে নিঃসন্দেহে আমোদিত করবে। ব্যাক কভার বহু প্রতীক্ষার পর অদ্ভুত এক কৌশলে নব্বই দশকে আবিষ্কৃত হয় প্রথম বহিঃসৌরগ্রহ। এরপর আরও অনেক বহিঃসৌরগ্রহের হদিস মিললেও সমাধান হয়নি এ-সংক্রান্ত বহু মৌলিক প্রশ্নের। বরং আরও ঘনীভূত হয়েছে রহস্য। সেই রহস্যময় ভ্রমণে আপনাদের স্বাগত।
জন্ম ৭ মে, ১৯৯২, ঢাকায়। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। বাবা হোসাইন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা তাসলিমা বেগম গৃহিণী। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট। মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ঢাকা কলেজে। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে। পরবর্তীতে রাশিয়ার রোসাটম টেকনিক্যাল একাডেমি থেকে সম্পন্ন করেছেন রেডিয়েশন সেফটির উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ। বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন রাষ্ট্রয়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান), এর সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে। কর্মসূত্রে বাস করছেন ঈশ্বরদীতে। তবে সুযোগ পেলেই চলে আসেন প্রাণের শহর ঢাকাতে। যেখানে কেটেছে জীবনের অধিকাংশ সময়। লেখকের ভালো লাগার অনেকটা জুড়েই রয়েছে বই পড়া, লেখালেখি করা এবং ফুটবল খেলা। তবে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পান নতুন নতুন জিনিস শিখতে এবং অন্যকে শোখাতে। স্বপ্ন দেখেন বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বইয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণতার। পাঠকের যে কোন পরামর্শ তার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাকে ইমেইল করতে পারেন এই ঠিকানায়ঃ [email protected]লেখকের ভালো লাগার অনেকটা জুড়েই রয়েছে বই পড়া, লেখালেখি করা এবং ফুটবল খেলা। তবে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পান নতুন নতুন জিনিস শিখতে এবং অন্যকে শোখাতে। স্বপ্ন দেখেন বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বইয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণতার। পাঠকের যে কোন পরামর্শ তার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাকে ইমেইল করতে পারেন এই ঠিকানায়ঃ [email protected]