ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা মহি শিক্ষিত ও আদর্শবান। বন্ধু পরিবেষ্টিত মহি অন্যের সেবায় এবং লেখালেখি করে পার করে দিল অনেকটা বছর।চে গুয়েভারার আদর্শে উজ্জীবিত ঘনিষ্ঠ বন্ধু সাদির প্রভাবে মহি অজান্তেই নিজকে প্রোলেতারিয়েত গোত্রভূক্ত করে ফেল দুর্ভাগ্যক্রমে সাদির অপমৃত্যু হয়।এজন এমপি মহিকে আশ্বাস দেন তিনি মহির প্রজেক্টে বিনিয়োগ করবেন।দলাদলির জের ধরে এমপি মহির পজেক্ট ইনভেস্ট করবেন না বলে জানান এবং মহিকে অপমান করেন।একমাত্র সম্বল জমিটিকে ঘিরে যে প্রজেক্ট করতে চেয়েছিল, সে স্বপ্ন তার ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে গেল।মহি যখন আঘাতে আঘাতে জর্জরিত, তখন তার সদ্য বিয়ে করা বউ সাথীর কাছ থেকে এল অভিনব আঘাত। সে পৃথিবীতে একাকী, বন্ধু বিহীন।চন্দ্রবিহীন পৃথিবীর মতো। চাঁদ সস্কুচিত হয়ে যাচ্ছে-বিজ্ঞানিরা এমন আভাস দিয়েছেন।পৃথিবীবাসির সীমাহীন অনাচার আর পাপ দেখে দেখে চাঁদ আর থাকবে না, তখন মানুষ চন্দ্রবিহীন পৃথিবীতে বাস করবে!রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার মহি বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পা্ঞ্জা লড়তে থাকে।প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতি না করেও দলাদলির শিকার হয়ে এক পা হারিয়ে পঙ্গুত্ববরণ করে মহি।বন্ধুরা সবাই পাশ কাটিয়ে গেল, শুধু এগিয়ে এল লিটু নামের এক বন্ধু। আপনজনেরা দূরে সরে যায়, স্ত্রী সাথী অন্যের প্ররোচনায় পড়ে মহির ভয়াবহ বিপর্যয়ে এগিয়ে এল না।এগিয়ে এল কলমী, মহির প্রথম স্ত্রী-অঢেল অর্থের মালিক।কলমী মহির সেবা করে। বন্ধু লিটু আর কলমী বিদেশে উন্তত চিকিৎসা দেয় মহিকে।তার পাণ্ডুলিপিটি কোনো প্রকাশক ছাপাতে চাইল না। কলমী জানায় সে ঘটা করে মহির বই প্রকাশ করেব। মহি রাজি হলো না।দুর্ভাগ্য মহিকে ছেয়ে যায় না। কলমীকে ঘিরে মহির স্বপ্ন যখন নতুনভাবে গুরু হলো, তখন কলমীর আরো একটি কালো অধ্যায় আবিষ্কার করে মহি ছিটকে পড়ে আবার। চলে যায় তার স্বপ্নের প্রজেক্টসাইটি, যেখানে সে প্রাণিদের অভয়ারণ্য করতে চেয়েছিল, সেখানে সে করল সামান্য পোল্ট্রি।মহির একাকী জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত কাহলির জিবরানের প্রতীকী ঢংয়ে উপস্থাপিত হয়েছে উপন্যাসের শেষের দিকে-Last night I invented a new pleasure, and as was giving it the first trial and angel and a devil came rushing toward my house. They met at my door and fought with each other over my newly created pleasure the one crying, "it in a sin!" the other, " It in a virtue!" kahlil Gibran
হাসান জাহিদ 'জলবায়ু পরিবর্তন : প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ ও বিশ্ব' হাসান জাহিদ-এর পরিবেশ বিষয়ক তৃতীয় গ্রন্থ। ইতোপূর্বে লেখকের 'বিপন্ন পরিবেশ: বিপন্ন পৃথিবী', 'পানিসম্পদ ও জলীয় প্রতিবেশ : বিপন্ন বিশ্ব' এবং 'Knowing the Environment' গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছে। হাসান জাহিদ পরিবেশ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় বাংলা ও ইংরেজিতে প্রবন্ধ লিখেছেন। তিনি জাপান ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা, পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ (ইআইএ) বিষয়ে প্রশিক্ষণ লাভ করেন। ডিপার্টমেন্ট অভ এনভায়রনমেন্ট থেকে তিনি ২০০২ সালে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এসকাপ (ESCAP) আয়োজিত 'ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড কিয়োটো প্রটোকল' শীর্ষক সেমিনারে বাংলাদেশের