ঈমান আনার পদ্ধতি ভূমিকা মানুষের জীবন ব্যবস্থায় ইসলামী আকীদা বিশ্বাস চিরন্তন শাশ্বত বিষয়। জ্ঞান- বিজ্ঞান, বিবেক-বুদ্ধি, চিন্তা-চেতনা ও উত্তম স্বভাব চরিত্রের সাথে ঈমান সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে মানব জাতির পরস্পরিক সম্প্রীতি শারীরিক মানসিক সার্বিক বৈধ চাহিদা পূরণে সমতা রক্ষা করে। মুসলিম উম্মাহর দুঃসময়ে আকীদা বিশ্বাসের চরম অবনতির যুগে ঈমান নিয়ে বাঁচা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুন্দর পরিশীলিত জীবন-যাপন ও দুনিয়া-আখিরাতে সফলতা অর্জনে ঈমানের গুরুত্ব অপরিসীম। বান্দার যাবতীয় আমল ও ইবাদত-বন্দেগী গ্রহণীয় হবার ক্ষেত্রে ঈমান-আকীদা প্রধান শর্ত। এই ঈমান-আকীদাই দুনিয়াতে সফলতা আখিরাতে চিরমুক্তি লাভের পথ নির্দেশক হিসেবে পরিগণিত। ইসলামী রীতিনীতি ঈমান-আকীদা অনুসারে জীবন পরিচালনা মানুষকে চিরকল্যাণ ও মহাসাফল্যের শিখরে আরোহণ করায় । এ মর্মে আল্লাহ তাআ'লা বলেন- إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّلِحَتِ كَانَتْ لَهُمْ جَنَّتُ الْفِرْدَوسِ نُزُلًا خُلِدِينَ فِيهَا لَا يَبْغُونَ عَنْهَا ج “যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের অভ্যর্থনার জন্য আছে জান্নাতুল ফেরদাউস। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে, সেখান থেকে স্থান পরিবর্তন করতে চাইবেনা।” (কাহাফ : ১০৭-১০৮) বান্দার আমল কবুল হবার জন্য ঈমান পূর্বশর্ত। ঈমানহীন আমল আল্লাহর দরবারে কখনো গ্রহণীয় নয়। মানব জাতির জন্য দুনিয়ার জীবনে ঈমান সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ও অমূল্য সম্পদ। যে এই সম্পদের অধিকারী সে মহাভাগ্যবান ও সর্বোচ্চ ঐশ্বর্যে সাফল্যবান। অন্তরে সুদৃঢ় বিশ্বাস ও সঠিক আকীদা পোষণ ব্যতীত ঈমানের পূর্ণতা অসম্ভব। ঈমান-ইসলাম পরস্পরে এক অভিন্ন বিষয় যা ব্যতীত আমাদের সব আমল মূল্যহীন। হৃদয়ে আন্তরিক বিশ্বাস, আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্যের উপর পরকালে সৎকর্ম গ্রহণীয় হবার ভিত্তি স্থাপিত। সুতরাং মানুষের ঈমান- আকীদার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলামী শরীয়তে আপরিসীম ৷ ভ্ৰান্ত বিশ্বাস ও লোক দেখানো মনোবৃত্তি মানুষের ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। সে যতই ভাল কাজ-পরিশ্রম করুক না কেন, পরকালে সবই বৃথা ও নিষ্ফল প্রতিপন্ন হবে। মানুষকে সন্তুষ্ট করার নিমিত্তে লোক দেখানো মনোবৃত্তি নিয়ে কাজ করলে সে কাজের সওয়াব থেকে বঞ্চিত হবে।