মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মহান আল্লাহ খিলাফতের মর্যাদা সম্পন্ন ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব প্রদান করেছেন। এ দায়িত্ব পালনের উপযোগী করার জন্য সার্বিক বিষয়ের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন কুরআনে। কুরআনী বিধান পালন তথা সৎকর্মের আদেশ ও অসৎকর্মের নিষেধ দ্বারা সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ পৃথিবী মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য পূরণের একমাত্র স্থান। মানুষের মৃত্যু পরবর্তী জীবনে অপেক্ষা করছে জান্নাত অথবা জাহান্নাম। নাজাত প্রাপ্তির সাধনা ও জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের প্রচেষ্টা মানব জাতিকে পৃথিবীতেই করতে হবে। জান্নাতের সুখ-শান্তি মানুষের ধারণা ও খেয়াল বহির্ভূত, তেমনি জাহান্নামের শাস্তিও মানব চিন্তা-চেতনা কল্পনাতীত । মহান আল্লাহ বলেন- “যারা ভাগ্যবান তারা থাকবে জান্নাতে, সেখানে তারা স্থায়ীভাবে থাকবে । যতদিন আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী বিদ্যমান থাকবে, যদি না তোমার প্রতিপালক অন্যরূপ ইচ্ছা করেন। এটা নিরবিচ্ছিন্ন পুরস্কার” (সূরা হুদ-১০৮) অনাবিল তৃপ্তি চির শান্তিময়, অতুলনীয় আনন্দঘন শান্তিময় নিবাস হল জান্নাত। এমন চির শান্তিময় আবাস, যাতে রয়েছে দৈহিক-মানসিক, দোষ- ত্রুটিহীন আরাম আয়েশের সমাহার। দুনিয়ার জীবনে তাওহীদ, রিসালাত, আখিরাতকে দৃঢ় বিশ্বাস রেখে আল্লাহ প্রদর্শিত পথে জীবন পরিচালনা করলে জান্নাতের অধিকারী হওয়া সম্ভব । আর জাহান্নাম হলো কঠিন বিভীষিকাময়, অসহনীয় জ্বালা-যন্ত্রণার অন্ধকারাচ্ছন্ন ভয়াবহ কঠিন শাস্তির কারাগার। কাফের, মুশরিক, মুনাফিক, নাস্তিক, মুরতাদ ও পাপিষ্ঠ মানুষরাই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। মানব হৃদয়ে জান্নাত প্রাপ্তির আকাংখা ও জাহান্নাম থেকে চিরমুক্তির আশায় আলোচ্য গ্রন্থখানার অবতারণা । আশা করি বইটি পাঠে আমাদের জান্নাত প্রাপ্তির তীব্র আকাংখা ও জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের প্রত্যাশা জাগ্রত হবে ইনশা- আল্লাহ।