ইংরেজি একটি সমৃদ্ধ গতিশীল আন্তর্জাতিক ভাষা। পৃথিবীর প্রায় সকল জাতিই তাদের মাতৃভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করে আসছে। আমরাও এর ব্যতিক্রম নই। কারণ, বর্তমান বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে চলতে হলে ইংরেজি ভাষা আয়ত্ত করার কোনো বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে শিক্ষাব্যবস্থায়ও ক্রমাগত পরিবর্তর আনার চেষ্টা চলছে যাতে মাতৃভাষার পাশাপাশি আমাদের শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ভাষায়ও সমান দক্ষ হয়ে উঠতে পারে। বিদেশি যে কোনো ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে দুটো পথে অগ্রসর হতে হয়- এক. লিখিত রূপে এবং দুই. স্পোকেন ফর্মে শেখা। লিখিতরূপে শিখতে হলে বানান ব্যাকরণ পরিভাষা ইত্যাদি ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হয়। স্পোকেন ফর্মে লিখতে গেলে সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হয় উচ্চারণের ওপর। এমনটা নয় যে, শুধু উচ্চারণ শিখলেই হয়ে যাবে অন্য কিছুর প্রয়োজন নেই, সেখানে বানান, ব্যাকারণ ইত্যাদি জানার প্রয়োজন আছে। কিন্তু স্পোকেন শব্দটা যেহেতু ‘কথা বলা’র সাথে সম্পৃক্ত, কাজেই উচ্চারণটা এখানে সবচেয়ে জরুরি। উচ্চারণ শিখতে গেলে আমাদের সামনে একটা বিপত্তি দেখা দেয়- আমরা কোন দেশের উচ্চারণ বিধি অনুসরণ করব? ব্রিটিশ না আমেরিকান? কারণ দুটো দেশের ইংরেজি রীতিই অবশিষ্ট পৃথিবীর মানুষ ইংরেজি ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে অনুসরণ করে আসছে। প্রায় দুশো বছর ব্রিটিশ ইংরেজরা আমাদের শাসন করেছে বলে আমরা ব্রিটিশ রীতিতেই ইংরেজি শিক্ষায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। তবে অধুনা আমেরিকান ইংরেজ নীতির অনুসরণও ক্রমাগত বাড়ছে। তবুও আমাদের শিক্ষার্থীদের ব্রিটিশনীতি অনুসরণের প্রবণাত ও প্রভাব এখনও যথেষ্ট। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আলোঘর সম্পাদনা বিভাগ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য ধারবাহিকভাবে স্পোকেন ইংলিশ-এর বেসিক ধারণাসম্ভৃত গ্রন্থ প্রণয়নে আগ্রহী হয়েছে। বর্তমান ক্ষুদ্র গ্রন্থটি সেই প্রয়াসেরই প্রথম পদক্ষেপ। বর্ণমালার উচ্চারণ শব্দ ও বাক্য সম্পর্কে বেসিক ধারণা প্রদান, শব্দভান্ডার বৃদ্ধি করার কৌশল ও চর্চা, প্রাথমিকভাবে কথোপকথন করা ইত্যাদি বিষয় সম্বলিত এই ক্ষদ্রি গ্রন্থটি শিশুদের ইংলিশ স্পোকেন এর দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলেই আমরা প্রত্যাশা করি।