ইতিহাস আসলে মুদ্রার মতো। যার দুটি পিঠ আছে। একদিক থেকে অন্যদিক সরাসরি দেখা যায় না। যার এক পিঠে আলো থাকলে অন্যদিকে থাকে অন্ধকার। এক প্রান্তে সত্য ও সাম্য থাকলে অপর প্রান্তে থাকে মিথ্যা ও অন্যায়। এক পক্ষে নায়ক থাকলে প্রতিপক্ষে খলনায়ক। ইতিহাস ও ঐতিহাসিকদের বানানো সব নায়কই নায়ক নন। আবার সব খলনায়কই খলনায়ক নন। আমাদের ইতিহাসে এমন অনেক ব্যক্তি, সাম্রাজ্য, সভ্যতা, মতবাদ, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যাদেরকে নায়ক বলে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলেও আদতে তারা খলনায়ক। বিশেষ করে স্বার্থবাদী পশ্চিমা গোষ্ঠী নিজেদের সাম্রাজ্য বিস্তারের নৃশংস কুশীলবদের আড়াল করতে, উসমানী খেলাফত ও মুসলিম সভ্যতার পতন ঘটাতে নিজেদের স্বার্থে কাজ করা অনেক খলনায়ককেই নায়কের আসনে বসিয়ে পুজো দিয়ে আসছে। আবার ইউরোপ, আমেরিকা, রাশিয়া, আরব ও উপমহাদেশে যাদেরকে নায়কের আসনে বসিয়ে স্তুতি গাওয়া হচ্ছে তারা আসলে কতটা নায়কোচিত ভূমিকা রেখেছে তা কজনে জানে? সাহিত্যের সুরভিত পাঠ হতে শুরু করে জমিদারি প্রথার আঙিনা মাড়িয়ে মুসলিম জাহানের হেফাজতের দায় তুলে নেওয়া সেনাবাহিনীগুলোর মধ্যে কারা আসলে নায়ক আর কারা খলনায়ক তা কি আমরা আদৌ জানি? বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ইসলামী ইতিহাসপ্রেমী ‘ইমরান রাইহান'-এর জাদুকরী কলমের ছোঁয়ায় বহুবার মুগ্ধ হয়েছে পাঠকমহল। ইতঃপূর্বে আরিশ প্রকাশন তার লিখিত ‘ইতিহাসের খলনায়ক’ বই প্রকাশ করে পাঠক মহলে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। এবার লেখকের ‘ইতিহাসের খলনায়ক ২’ দিয়ে ইতিহাসপ্রেমী পাঠকের হাতে নতুন রসদ তুলে দেওয়া হলো। আমরা আশা করি বইটি পাঠকের মানসজগতে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে। ইনশাআল্লাহ।