স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একজন বাঙালি পদার্থবিদ, উদ্ভিদবিদ ও জীববিজ্ঞানী এবং প্রথম দিকের একজন কল্পবিজ্ঞান রচয়িতা। ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে যে কয়েকজন বৈজ্ঞানিকের কথা জানা যায়, আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম (যিনি ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের কাছে জে. সি. বোস নামে পরিচিত)। তিনি তাঁর সময়ে বাঙালী বিজ্ঞানীদের মধ্যে পরীক্ষাভিত্তিক বিজ্ঞান চর্চায় ছিলেন অগ্রগণ্য। তিনিই প্রথম প্রমাণ করেন যে প্রাণী ও উদ্ভিদের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। তাঁর গবেষণার ফলে উদ্ভিদবিজ্ঞান শাখা সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহারিক ও গবেষণাধর্মী বিজ্ঞানের সূচনা হয় তার হাত ধরে। ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স তাকে রেডিও বিজ্ঞানের জনক বলে অভিহিত করে । আমি আজ সেই মানুষটির কথা বলবো। যুগস্রষ্ঠা এই মানুষটি সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে ছোট্ট পরিসরে। তবে পরিসর ছোট হলেও জানানোর চেষ্টা আন্তরিক। বর্ণনার ভাষা প্রাঞ্জল । সংযোজিত ছবি ব্যাখ্যাময় । ফলে ঠিক যতটুকু জানা ও অজানার মধ্যে দূরত্ব- তা অনায়াসে পেরিয়ে যেতে পারবেন পাঠকবৃন্দ । এই দূরত্ব হোক না সীমাহীন । হোক না আঁটসাট, সংক্ষিপ্ত। তবুও প্রচেষ্টা ছিল যত্নের। তাই পর্যবেক্ষণ হোক নিবিড়। তাহলেই সম্ভব হবে জানা-অজানার বেড়াজাল ডিঙিয়ে যাওয়া। আর এখানেই আমার কষ্টসাধ্য পরিশ্রমের সার্থকতা । বইটি লেখার সময় আমাকে নির্ভর করতে হয়েছে বিভিন্ন তথ্যের ওপর। বিশেষ করে ইন্টারনেট, গুগল, উইকিপিডিয়াসহ বেশ কিছু স্বনামধন্য ব্লগ ও ওয়েবসাইটের শরণাপন্ন হতে হয়েছে। এছাড়া, নিচের ওয়েবসাইট থেকে নিতে হয়েছে পর্যাপ্ত তথ্যাবলী। সাইটগুলো হলো : texscince.blogspot.com, প্রথম আলো, bd24live.com, probash-mela.com, samakal.com, jugantor.com, roar.media, anandabazar.com, bn.quora.com, lekhaporabd.com, bigganpotrika.com, এবং 10minuteschool.com। এসব বহুল পঠিত ও প্রচলিত ওয়েবসাইটগুলোর লেখা পড়ে মুগ্ধতায় ছেয়ে গেছে আমার অন্তর। এসব ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করার আন্তরিক অভিপ্রায় নিশ্চয় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ওয়েবসাইটের অ্যাডমিনিস্ট্রেটরগণ। এসব সাইটের লেখক ও কলাকুশলীদের প্রতি রইলো পাঠকবর্গের পক্ষ থেকে অন্তহীন শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা । ধন্যবাদ সকলকে ।