আঠারো শতকের সূচনায়, বাংলার নবাব কার্যত দিল্লির কেন্দ্রীয়-নিয়ন্ত্রণমুক্ত হওয়ার পরেই, হুগলি নদীর তীরবর্তী শহরসমূহের বিত্তবান পরিবারগুলি নবাবী রীতির অনুকরণে বিলাসবহুল জীবনযাপনে প্রবৃত্ত হয়। ইংরেজ অধিকারের পর এই বিলাসব্যসনের প্রবণতা আরো বৃদ্ধি পায়। অচিরেই ইউরোপীয় বণিকের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করে অথবা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে সহযোগিতা করে একাধিক বাঙালি পরিবার অপরিমিত বিত্তশালী হয়ে ওঠে। উনিশ শতকের কলকাতার সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের ধনোপার্জনের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যাবে এঁদের পূর্বপুরুষেরা কেউ ছিলেন কোম্পানির সাহেবদের দেওয়ান, কেউ বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের খাজাঞ্চি, কেউ ঠিকাদার, কেউ ব্যাঙ্কার; মোট কথা কোনো-না-কোনো ভাবে কোম্পানির শাসনামলে উন্মুক্ত সুযোগসুবিধার সদ্ব্যবহার করেই এঁরা বিত্তবান হয়েছিলেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কাশিমবাজার স্টেটের প্রতিষ্ঠাতা কান্তবাবু ছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারী Mr. Sykes-এর বেনিয়ান। শোভাবাজার রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা মহারাজ নবকৃষ্ণ ছিলেন খোদ ওয়ারেন হেস্টিংসের মুন্সী। কলকাতার বিখ্যাত রায় পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা লক্ষ্মীকান্ত ওরফে নকু ধর ছিলেন লর্ড ক্লাইভের বেনিয়ান। ঠাকুর পরিবারের প্রধান শাখার আদিপুরুষ দর্পনারায়ণ ঠাকুর হুইলার সাহেবের দেওয়ানি করে প্রভূত অর্থ উপার্জন করেন। সিংহ পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা শান্তিরাম সিংহ পাটনার চিফ মি. মিল্টন ও স্যার টমাস রামবোল্ডের দেওয়ান ছিলেন।
আবু হেনা মােস্তফা কামাল পিতা- আব্দুর রহমান (তিনি শিক্ষক ছিলেন) মাতা- হাসিনা রহমান (গৃহিনী ছিলেন) শিক্ষা- নজিপুর হাইস্কুল, রাজশাহী কলেজ এবং তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেছেন। স্ত্রী- জাহানারা বেগম(শিক্ষিকা) সন্তান- দুই কন্যা সন্তান ১ম রেহনুমা শারমিন উর্মি- বেতার শিল্পী ও শিক্ষিকা ২য় তানজিলা জিনাত তিস্তা- সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী। জনাব আবু হেনা মােস্তফা কামাল স্কুল জীবন। থেকে সঙ্গীত, নাটক ও সাহিত্য কর্ম শুরু করেন। তার জন্মস্থান নওগাঁ জেলার পত্নীতলাতে। কর্মজীবনে তিনি সােনালী ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত উদয়ন সাহিত্য সাংস্কৃতিক গােষ্ঠী, পত্নীতলা এর জন্মলগ্ন থেকে তিনি এর সাথে যুক্ত থেকেছেন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত সাহিত্য সংকলন ‘কথারা প্রকাশ পেতাে। এই গােষ্ঠীর সাথে আরাে যুক্ত ছিলেন। অধ্যাপক আবুল হায়াত ইসমাইল, কবি আহম্মদ হােসেন বাবু, সৈয়দ মােজাম্মেল হক এবং মেসবাউল হক মেসবা প্রমুখ। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা চারটি।