গল্প করতে কার না ভালো লাগে, সব বয়সী পাঠকই গল্প করতে পছন্দ করেন। গল্পের বই তো বটেই, ধর্মীয় আলোচনার বইয়েও তারা গল্পের অংশটুকু খুঁজে বেড়ান। গল্পের সুবিধাটা হচ্ছে, গল্প টিকে থাকতে চায়। গল্পের ছলে বলা যেকোনো কথা মনে থাকে, আর তাই লেখক বেছে নেন গল্পের শরীর। আয়াতুল কুরসি সাইয়েদু আয়াতি আয়াতিল কুরআন। এ আয়াতের রহস্য, ফজিলত ঢের। তাই একে নিয়ে আগ্রহ ও সুফল পাওয়ার ঘটনা রয়েছে প্রচুর। সেইসব গল্পঘটনা এক করলে দাঁড়ায় বড় কলেবরের বই। কিন্তু তথ্যউপাত্ত ও যাচাইবাছাইয়ের পর কিছু গল্প সসম্মানে অনধিকৃত থেকেছে, সেগুলোর সঠিক উদ্ধৃতি অনুপস্থিত বলে। যেসব গল্পঘটনা সংকলিত হয়েছে, সেগুলো নির্ভরযোগ্য কিতাবে উপস্থিত। তাই সালাফের অনুকরণ করে যথাসম্ভব প্রয়োজনীয় কিছু গল্পঘটনা উদ্ধৃত হয়েছে। আয়াতুল কুরসি সারাদিন বিভিন্ন সময় পড়া হয়। সপ্তায় পড়ার ওজিফাও প্রচলিত বুযুর্গানে কেরামের নুসখা অনুযায়ী। সবভাবেই দারুণ ফায়দা ও সুরক্ষা আনে এ আয়াত। ব্যবসায় বরকত, জানমালের নিরাপত্তায় সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী এ আয়াতের আমল। মুসলিম শিশুদের কুরআন শেখার প্রথম দিকে যে কয়টি সুরা ও আয়াত শেখা উচিত, তাদের মধ্যে আয়াতুল কুরসিও একটি। ঘরে একখানি আয়াতুল কুরসির বই রাখুন, নিজে হেফাজত থাকুন, পরিবারপরিজনকেও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার দেওয়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে রাখুন।