ইসলাম পৃথিবীতে এসেছে শান্তির বার্তা নিয়ে। যে শান্তি যৌক্তিক ও ফিতরাত তথা স্বভাবধর্মের সম্পূর্ণ আনুকূল্যমাফিক। ইসলাম মানুষের অন্তরাত্মা বা অন্তকরণকে সাজাতে চায় শুদ্ধতার উপচার দিয়ে। মানুষের বাহ্যিক রূপারূপ তথা ইহকালকে গঠন করতে চায় খাদহীন সৌন্দর্য নিয়ে। মানুষের প্রার্থনা, আরাধনা, চিন্তাচেতনা ও উপলব্ধিকে নির্মাণ দিতে চায় স্বচ্ছ শুভ্র ও অনাবিল আদর্শ দিয়ে। মানুষের পরকালকে পরিস্রুত করতে চায় নাজাতের চাবিকাঠি দিয়ে। যে আদর্শ বা চাবিকাঠিতে কালিমার স্থান নেই। পঙ্কিলতার আবরণ নেই। পাপ বা পাপপূর্ণ পথের অনুমোদন নেই। মূর্তি, প্রতিমা বা ভাস্কর্যচর্চা বা দেবদেবীর নামে যত পৌত্তলিক আচার-আচরণ আছে, সে সবের কোনো ঠাঁই নেই ইসলামের উদার ও সাত্ত্বিকতার মহা পবিত্র অঙ্গনে। ইসলামের ইতিহাসের যারা নিবিষ্ট পাঠক তার আলবৎ জানেন যে, মহান আল্লাহ তাআলা সবকিছু ক্ষমা করে দেবেন (যদি তিনি চান) কিন্তু শিরককে কখনো ক্ষমা করবেন না। মূর্তিসর্বস্ব যত কিছু আছে বা থাকতে পারে, সে সব বিষয় যেহেতু সুস্পষ্ট শিরক, তাই এই বিষয়ে সবসময়ই কঠিন-কঠোর ও নিরাপস থেকেছে ইসলাম। ইসলামের এই মূর্তি-প্রতিমা বা দেবদেবী বিরোধিতার ইতিহাস তাই সৃষ্টির শুরু থেকেই। বক্ষ্যমাণ ‘মূর্তিভাঙার ইতিহাস' মূলত সেইসব বিষয়েরই একটি প্রামাণ্য কিতাব। যে কিতাব আপনাকে এনে দেবে সম্পূর্ণ শিরকমুক্ত একটি তাকওয়াপূর্ণ মহান আল্লাহ তাআলার রেজামন্দির অলৌকিক জীবন।