আলিফ মোহাম্মদ খুন হয়েছেন। উনি যে ধরনের লোক, মানে পেশাগত জীবনে যা করতেন তাতে তার পক্ষে খুন হওয়া আশ্চর্য কিছু না, তবে খুন হবার পরের ঘটনা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু আলাদা। খুনের জায়গা থেকে প্রায় হাতেনাতে ধরা পড়ে তারই আপন ভাতিজা। কিন্তু, তার জবানবন্দিতে সে খুনের কথা স্বীকার করেনি। আড়াই'শ বছর আগে এক মূল্যবান জিনিস বহুদূর থেকে ঘটনাচক্রে আসে দিনাজপুরের মাটিতে। এতগুলো বছর আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে আলোর স্পর্শ কি পাবে সেই মূল্যবান অজানা বস্তু? নাকি কিংবদন্তি আরও কিছুকাল কিংবদন্তি হয়েই থাকবে? সবচেয়ে বড়ো প্রশ্ন সেই জিনিসের সাথে আলিফ মোহাম্মদের খুনের কি কোনো সম্পর্ক আছে? কোনো প্রশ্ন না জেনেই ঈশান পা দেয় দিনাজপুরের মাটিতে। না, দেখতে সুন্দর ছিমছাম এই শহরের বুকে যেন জমে আছে কিছু অজানা কথা, কিছু রহস্য। ঘুঘুডাঙ্গার জমিদার বাড়ির আসল রহস্যের সমাধান করতে হবে তাকে। প্রশ্নগুলো আস্তে আস্তে খুঁজে পায় সে। এবার খুঁজতে হবে উত্তর। কে খুন করেছে আলিফ মোহাম্মদকে? প্রতিশোধ, ব্যাবসা, লোভ, পথের কাঁটা দূর; যে-কোনো কারণই হতে পারে। ঈশান কোনো প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজে পায় না। দিনাজপুরের সরল সমতল জমি ক্রমশ এক গোলকধাঁধা হয়ে উঠছে তার সামনে।