১৯৯৮ সাল থেকে 'দৈনিক মুনসিফ হায়দারাবাদ' অত্যন্ত চমৎকার সেটাপ গেটাপে নতুন ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত হচ্ছে। পত্রিকার ব্যবস্থাপকগণ আমার কাছে আবেদন করেন, প্রতি জুমার দিন যেনো পত্রিকার জন্য একটি বিশেষ কলাম লিখি, সেটা তারা مع فروزاں নামে প্রকাশ করবে। পত্রিকাটির প্রচার- সংখ্যা যেহেতু প্রচুর; বিশিষ্ট-সাধারণ, নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সবাই পত্রিকাটি পড়ে, যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় তাহলে এটা হতে পারে নেকি ও কল্যাণের বিরাট প্রচার। এদিকে লক্ষ করে আমি তাদের প্রস্তাবে রাজি হই।
তখন থেকে আজ পর্যন্ত প্রতি জুমায় আমি কলামটি লিখি। আমি চেষ্টা করি যুগোপযোগী, সময়ঘনিষ্ঠ ও নিত্যনতুন বিষয়ে ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার। যাতে মানুষ মনে করে ইসলাম একটা জীবন্ত ও জীবনঘনিষ্ঠ ধর্ম। সেই কলামে আমি সেসব বিভ্রান্তি অপনোদনের চেষ্টা করি ইসলাম সম্পর্কে যেগুলো ছড়ানো হয়। সাধারণ পাঠকদের বোধগম্য করার লক্ষ্যে আলোচনা নিরেট ইলমি ও বিশ্লেষণধর্মী না করে দাওয়াতি ও উপদেশের ঢঙ্গে করি। আবার দলিল-প্রমাণগুলো যেনো এসে যায়, সে ব্যাপারেও লক্ষ রাখি।
১৯৯৯ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত যেসব কলাম প্রকাশিত হয়েছে তন্মধ্যে ইসলাম সম্পর্কে বিভ্রান্তি দূর করার জন্য যেসব কলাম লেখা হয়েছে সেগুলো حقائق اور غلط فہمیاں নামে ছাপা হয়েছে।
شمع فروزاں নামক কলামে যেসব প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে আফসোসের বিষয় হলো সেগুলো যথাযোগ্যভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি। কিছু প্রবন্ধ অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও পাওয়া যায়নি। তারপরও যেগুলো পাওয়া গেছে সেজন্য স্নেহভাজন মৌলবি মুহাম্মদ নেয়ামতুল্লাহ কাসেমির শুকরিয়া জানাই। তিনি অত্যন্ত যত্নসহকারে সেসব প্রবন্ধের জিরাক্স কপি সংরক্ষণ করেছেন এবং তারিখ অনুযায়ী বিন্যস্ত করেছেন। যেসব প্রবন্ধ পাওয়া যায়নি সেগুলোর জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরনো পত্রিকা জমা করেছেন।
প্রায় সব প্রবন্ধই তিনি একত্র করতে পেরেছেন। তবে কিছু প্রবন্ধ এখনো হস্তগত হয়নি। তারপর তিনি প্রবন্ধগুলো দিয়ে বিষয়ভিত্তিক আলাদা আলাদা সমগ্র তৈরি করেছেন। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি তেমনি একটি কলাম-সমগ্র। প্রিয় মাওলানাকে আল্লাহ তায়ালা জাযায়ে খায়ের দান করুন। তাকে দ্বীন ও ইলমে দ্বীনের বেশি বেশি খেদমত করার তৌফিক দান করুন। আর এই নগণ্য কলাম-সমগ্রকে মানুষের মনের দ্বিধা-সংশয় দূরীকরণে ফলপ্রসূ বানিয়ে দিন যা প্রতিনিয়ত পাশ্চাত্যের পক্ষ থেকে রোপন করা হচ্ছে। পশ্চিমাদের অবস্থা হলো-শীশমহলে বসে অন্যদের দিকে পাথর ছোড়ে।