ফ্ল্যাপে লিখা কথা বাঙালি জাতির দীর্ঘদিনের সংগ্রাম ও আত্নত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই চেতনার আলোকে লক্ষ্ণীপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনায় প্রবৃত্ত হয়েছি। দীর্ঘ ৪০ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংক্রান্ত দলিল দস্তাবেজ সংগ্রহ সহজ নয়। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখেছে এমন অনেকেই মৃত্যুবরণে করেছে। যুদ্ধকালীন ঘটনার স্বাক্ষী অনেক মুক্তিযোদ্ধাও বেঁচে নেই। যারা বেঁচে আছে তাদের কাছে এ জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংগ্রহ করতে হয়েছে।প্রবীণ নেতাকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধার ধূসর স্মৃতি থেকে সংগৃহীত তথ্যগুলো সঠিক ভাবে উপস্থাপন করার যথাসাধ্য চেষ্টার কোন ত্রুটি করেনি। সত্যি বলতে কী, এতদিন পর যুদ্ধকালীন সার্বিক তথ্যের অনুপুঙ্খ চিত্র তুলে ধরা সম্ভব নয়। ঐ সময়ে সংগঠিত গেরিলা ও সম্মুখযুদ্ধের বীরত্বগাঁথা বিভিন্নজনের কাছে বিভিন্ন বর্ণনা শুনেছি। তবে লক্ষ্ণীপুরের প্রত্যেক উপজেলা ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের প্রাপ্ত তথ্যাদি যতটুকু সম্ভব যাচাই বাছাই করেছি।
সূচিপত্র * নামকরণ * ১৯১৩ সালের মানচিত্র বিশ্লেষণ * জনগোষ্ঠী সমতটের দক্ষিণ ভাগের শাসন( ৪০০-১৩০০) সময়কাল * বর্মন বংশেরশাসন কার্যের সময়কাল( ১০৮০-১১৫০) * ভুলুয়া নামের নতুন রাজ্যের প্রতিষ্ঠা * ফখরুদ্দিন ও কয়েকজন শাসকের শাসনকাল * লক্ষণমানিক্য ,বলরাম মানিক্য, অনন্ত মানিক্য * ইংরেজ কোম্পানী আমলে ভুলুয়ার অবস্থা * জেলা হিসেবে ভুলুয়ার আত্নপ্রকাশ * আইন আদালত * শিক্ষা ব্যবস্থা * ধর্মীয় ব্যবস্থা * চিকিৎসা ব্যবস্থা * ঝড় ,জলোচ্ছ্বাস, প্রাকৃতিক বন্যা * ওয়াবী, ফরাজী আন্দোলন * সিপাহী বিদ্রোহ * ১৯৪৬ এর দাঙ্গা * ১৯৪৭ পূর্ব নোয়াখালী জেলা প্রশাসক * জনপ্রতিনিধি * লক্ষ্ণীপুর জেলার জেলা প্রশাসক * লক্ষ্ণীপুর জেলার জেলা জজ ও দায়রা জজগণ * লক্ষ্ণীপুর জেলার পুলিশ সুপারগণ * লক্ষ্ণীপুর জেলার সিভিল সার্জন গণ * প্রধান প্রধান কৃষিপন্য মূল্য * স্থানীয় প্রাচীন জমিদার বাড়ী, রাজবাড়ী পরিচিতি * প্রাচীন মসজিদ,মন্দির গীর্জা পরিচিতি * লক্ষ্ণীপুরের ঐতিহ্যবাহী দিঘি * লক্ষ্ণপুরের নদী নালা * লক্ষ্ণীপুর অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস * লক্ষ্ণীপুরের হাট বাজার * লক্ষ্ণীপুর ভাষা, লোক সাহিত্য * লক্ষ্ণীপুরের কখন কোথায় কি মেলা হয় * সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সমবায় সমিতি * ঈদগা ময়দান * লক্ষ্ণীপুরের ব্যাংক বীমা * উপজেলা ভিত্তিক গ্রামের নাম ,আয়তন ও জনসংখ্যা * শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রাথমিক স্কুল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ,মাদ্রাসা সমূহ * কয়েকটি বংশ তালিকা * লক্ষ্ণীপুর থেকে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকা,বই,স্মরণিকা * কয়েকটি ছবি
নাজিম উদ্দীন মাহমুদের জন্ম ১৯৬৫ সালে ৩রা মে লক্ষ্মীপুর জেলার মজুপুর গ্রামে। তার পিতার নাম হাজী নজিব উল্যা মিঞা, মাতার নাম ওয়াজেদা বেগম। লক্ষ্মীপুর এইচ. এ. সামাদ একাডেমী থেকে এস.এস.সি, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ থেকে আই. এস. সি ও বি. এ, চট্টগ্রাম। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এম. এ ও এল.এল.বি ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর তিনি লেখালেখিতে মনােনিবেশ করেন। নিজ জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে আশৈশব কালের সে ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে শুরু করেন ইতিহাস অনুসন্ধানের। পাশাপাশি কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ প্রকাশ হতে থাকে বিভিন্ন পত্রিকায়। অন্য পেশায় যাওয়ার সুযােগ থাকলেও লেখালেখিকে বিশেষ করে ইতিহাস অনুসন্ধানে সময় দিতে গিয়ে প্রভাষনাকেই জীবিকার মাধ্যম হিসাবে বেছে নেন। তিনি ইতােমধ্যে বাংলা একাডেমীর সদস্য, এশিয়াটিক সােসাইটি মনােনিত লেখক ও গবেষণা সহযােগীসহ বেশ কয়েকটি সাহিত্য সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হন। বহু প্রতিকূলতা এড়িয়ে মােহের বেড়াজাল ছিন্ন করে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। তার লেখা বই পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।