● “দি অ্যালকেমিস্ট” হচ্ছে ব্রাজিলিয়ান লেখক পাওলো কোয়েলহো রচিত একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮৮ সালে। এটি মূলত পর্তুগিজ ভাষায় রচিত হয়েছিল এবং অক্টোবর ২০১৪ পর্যন্ত অন্তত ৮০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
● পাওলো কোয়েলহো নিঃসন্দেহে একবিংশ শতাব্দীর একজন গুণী লেখক। অবশ্যই তাঁর লেখনীর সৃজনশীলতা তৈরি হয়েছে গত ৫০ বছরে, কিন্তু তাঁর জ্ঞান এবং যুক্তিবাদীতা নিঃসন্দেহে বর্তমানে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। বর্তমানে মানুষ ভোগবাদী এবং প্রগতিশীল জীবনযাত্রার জেলে আবদ্ধ। মানুষ ভুলে যেতে বসেছে যে, তাদের একটি আধ্যাত্মিক দিক রয়েছে এবং তারা চাইলেই তাদের আত্মা থেকে দূরে সরে যেতে পারবে না। এবং আমরা জেনে হোক বা না জেনে হোক, কেন যেন কৃত্রিমতার মাঝে নিজেদেরকে বিলিয়ে দিতে বেশি ভালোবেসে আসছি। অগাধ জ্ঞানের অধিকারী পাওলো আমাদের সামনে নিয়ে এসেছেন একটি পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান ভাণ্ডার, যা কিনা আমাদের সকলের সামনে ‘দি অ্যালকেমিস্ট' নামে পরিচিত। এই বইটি জীবন দর্শনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়কে তুলে ধরেছে। তাঁর জ্ঞান এবং তাঁর প্রবল ইতিবাচক মানসিক চিন্তাধারা কিছু সুন্দর বিষয় আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে। যা প্রমাণ করেছে, বই শুধু চিত্তবিনোদনের জন্য নয়, বরং জীবন দর্শন এবং জীবন পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা রাখে।
● ‘দিঅ্যালকেমিস্ট' বই থেকে জীবনের ১০টি শিক্ষা:
১. ভয় হচ্ছে আমাদের জীবনের অন্যতম বাধা। অন্য যেকোনো দর্শনীয় বাধার চেয়েও ভয়ংকর বাধা হচ্ছে ভয়।
২. সত্যের জয় সবসময় হয়।
৩. জীবনের একঘেয়েমি বিষয়গুলো সরিয়ে ফেলা প্রয়োজন।
৪. বর্তমানকে আলিঙ্গন করা।
৫. সফলতায় ঢেউয়ের মতো একটি প্রভাব কাজ করে, যা একের পর এক আসতে থাকে।
৬. স্পষ্টবাদী হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৭. আমাদের কল্পনাগুলোকে মুক্ত করে দেওয়া উচিৎ।
৮. ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যহত রাখা উচিৎ।
৯. সবসময় নিজের পথ অনুসরণ করা উচিৎ।
১০. কথা নয়, কাজে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ।
● ‘দি অ্যালকেমিস্ট' বইটা পড়েছেন? না পড়লে পড়ে ফেলুন। একজন মানুষের জীবনের লক্ষ্য ঠিক করার জন্য যতগুলো ভালো বই পড়া প্রয়োজন, ‘দি অ্যালকেমিস্ট’ তার মধ্যে অন্যতম। একদম বাড়িয়ে বলছি না। সময় করে পড়ে ফেলুন। এরপর বুঝবেন- একজন লেখক কতটা গভীরভাবে মানুষের জীবনবোধকে তুলে ধরতে পারেন। কতটা সহজ ভাষায় পাঠকের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন- আপনি ঠিক কী কারণে কখনোই সফল হতে পারেন না।