ফ্ল্যাপে লিখা কথা আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গৌরবময় এবং বীরত্বপূর্ণ অধ্যায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, আর মহত্তম অর্জন হলো গণমানুষের অংশগ্রহণের সেই যুদ্ধে বিজয় অর্জন। ঐতিহাসিক একাত্তর হঠাৎ একদিনে অগ্নিক্ষরা রক্তঝরা চরিত্র লাভ করেনি। ওই একাত্তরের পেছনে আছে উত্তাল সত্তুর, বাঁধন ছেঁড়া ঊনসত্তুর, তরঙ্গমুকর ছেষট্রি বাষট্রি , তারও পেছনে আছে বায়ান্নোর রক্তভেজা পথ; এমনই আরো কত লড়াই-সংগ্রামে উদ্দীপ্ত দিন। এ দীর্ঘ সময় পেরিয়ে তবেই আসে একাত্তর এবং গণসম্পৃক্ত হয়ে ওঠে মহান মুক্তিযুদ্ধ। তাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কেবল রণক্ষেত্রের হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ানমাত্র নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে এই ভূখন্ডের জনগনের বহু বছরের আশা -আকাঙ্খা, শোষণ -বঞ্চনা ,ক্ষোভ এবং দ্রোহের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা অসামান্য জীবনালেখ্য।
সূচিপত্র * পটভূমি: ক. জেলার ভৌগোলিক বিবরণ( নদী-নালা, পথ-ঘাট, হাট-বাজারসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত স্থান সমূহের বিবরণ) খ. ১৯৪৭ পূর্ব প্রতিরোধের ঐতিহ্য গ. ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭০ সালের নির্বাচন কালানুক্রমিক ঘটনা প্রবাহের বিবরণ ঘ. ১৯৭০ সালের নির্বাচন ও তার প্রতিক্রিয়া * প্রথম অধ্যায়: অসহযোহ আন্দোলন ‘৭১ (১লা মার্চ-২৫ মার্চ ১৯৭১) * দ্বিতীয় অধ্যায়: পকিস্তানি সেনাবাহিনীর আক্রমন এবং বাঙালির সশস্ত্র প্রতিরোধ * তৃতীয় অধ্যায়: জেলার মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক ,সাংস্কৃতিক ,ছাত্র ও পেশাজীবী সংগঠন এবং ব্যক্তির ভূমিকা চতুর্থ অধ্যায়: গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি, সামগ্রিক যুদ্ধ ও বিজয় অর্জন * পঞ্চম অধ্যায়: পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের তৎপরতা * ষষ্ঠ অধ্যায়: নির্যাতন ও গণহত্যা * সপ্তম অধ্যায়: মুক্তিযুদ্ধের স্মারক পরিশিষ্ট * ১. শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা * ২. শহীদ ইপিআর-দের তালিকা * ৩. মুক্তিযোদ্ধার তালিকা * ৪. পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নিহতদের তালিকা * ৫. রাজাকার ,আলবদর, আলসামস বাহিনী ও শান্তি কমিটির নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিবর্গের নাম ও ঠিকানা র * আলোকচিত্র
ড. মাযহারুল ইসলাম তরু, জন্ম ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে। পিতা : অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, মাতা : তাহেরা ইসলাম। শিক্ষাজীবন : মাধ্যমিক ১৯৮৪, নবাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক ১৯৮৬, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৩ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্মান ও ১৯৯৪ সালে স্নাতকোত্তর, ১৯৯৯ সালে এম.ফিল এবং ২০০২ সালে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। কর্মজীবন ১৯৯৪ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরে প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত শাহ নেয়ামতুল্লাহ ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু। ১৯৯৯ সালে সহকারি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন কর্তৃক বিসিএস (শিক্ষা) ক্যাডারে সরাসরি সহযোগি অধ্যাপক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। বর্তমানে তিনি নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত। শিক্ষকতায় অবদানের জন্য তিনি ২০০৪ সালের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে জাতীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : নবাবগঞ্জ জেলার ইতিকথা (১৯৯০), বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রাচীন কীর্তি (১৯৯৪), চাঁপাইনবাবগঞ্জ : ইতিহাস ও ঐতিহ্য (১৯৯৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জের লোকসংস্কৃতি পরিচিত (১৯৯৯), প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও রচনা (১৯৯৯), বরেন্দ্র অঞ্চলের লোকসংগীত : আলকাপ (২০০৩), আদিবাসী লোকজীবন (২০০৭), গৌড় থেকে চাঁপাই (২০০৭) পুরস্কার : পাবলিক লাইব্রেরি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৯), বাংলাদেশ কবিতা ক্লাব সাহিত্য পুরস্কার (২০০০), বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সাহিত্য পুরস্কার (২০০০), রমেন ঘোষ স্মৃতি সম্মান (২০০২), এবং জাতীয় সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (২০০৬), ন্যাশনাল সার্টিফিকেট, বাংলাদেশ স্কাউটস (২০০৭) লাভ।