জেগে ওঠার স্বপ্ন রোজাকে তাড়িত করল। বদল করল চাকরি। তারপর দ্রæতই বদলে গেল অন্য সব কিছু। ফুলের সৌরভ পেতে গিয়ে কাঁটার আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হলো রোজা। তার বাবা খুরচুন বাবুর্চির মনে অন্য সন্দেহ ঢুকে পড়ল। পরখ করতে লাগলেন তিনি মেয়েকে। কারণ রোজার অনেক পরিবর্তনই প্রশ্ন তৈরি করছিল বাবার মনে।
সংসারে স্বপ্ন লুকানোর বীজ, অদৃশ্য বিমূর্ত চিন্তা বা সময়ের ধুলা ওড়া-কিংবা জটিলতার ভেতরে ভিন্ন গল্পের সন্ধান পেল রোজার বাবা খুরচুন বাবুর্চি। তার অনেক সন্দেহই মিলে মিলে যাচ্ছিল। গুলিবিদ্ধ আহত-পাখির মতোই অস্থির হয়ে পড়তে দেখা গেল রোজার বাবাকে।
পুরোনো ঢাকার ইতিহাস ঐতিহ্য হৃদয়ে লালন করেন জুম্মন হাজী। পুরোনো ঢাকায় ডেভেলপার কোম্পানি ঢোকা, ফার্স্ট ফুডের দোকান হওয়া কিংবা আধুনিক পোশাক-আশাক ঢুকে পড়ায় তিনি শংকিত আর বিচলিত। দু জন স্ত্রী থাকার পরও এই বিদ্ধান মানুষটির গোপনে আরও একটি বিয়ে করার খবর প্রকাশিত হয়ে পড়ে।
একাত্তরের পাঁচ জুলাই নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সোনাকুড়া গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্মেছি আমি। সৌভাগ্য আমার, কলেজে পড়া পর্যন্ত গ্রামেই ছিলাম। সেই জীবনটাকে স্বরূপ সন্ধানের মতো করে লেখার মধ্য দিয়ে এখনও আমি খুঁজি। সন্ধ্যা পালানো শিয়ালের ডাক কিংবা দূর থেকে ভেসে আসা বাঁশির সুর এখনও আমাকে আবেশে উতলা করে। গভীর রাতের প্রহরে প্রহরে ডাহুকের হুঁশিয়ারি ডাক কিংবা ভোরের বাতাসে কচি নিমপাতার কাঁপন আমাকে এখনও নিয়ে যায় সে-ই শৈশবে। আমি হাতড়াই! আমি কাতরাই!! পেশা শুরু করেছিলাম সাংবাদিকতা দিয়ে। সাত বছর বিভিন্ন পত্রিকায় গুণী ও জ্ঞানীজনদের সঙ্গে কাজ করেছি। পরবর্তীতে চ্যানেল আইতে যুক্ত হই। এখনও অনুষ্ঠান নির্মাণ করছি চ্যানেল আইতে। লেখালেখির শুরুটা শৈশবে। আমি তখন সেভেনে পড়ি। আমার লেখা কবিতা বাংলাদেশ বেতারে পাঠ করা হলো। সেই থেকেই নিয়মিত লেখালেখি আমার। পরবর্তীতে আর কবিতা নয়Ñ গান, টিভি নাটক এবং গল্প উপন্যাস লিখছি। অনেক লেখার কারণেই হয়তো ইতোমধ্যে বেশকিছু পুরস্কারও পেয়েছি। যা-ই লিখি, ভালো লাগে। পড়ে আনন্দ পাই। বন্ধুরা উৎসাহ দেয়। কিন্তু বই হয়ে বাজারে এলে প্রতিবারই নিজের লেখা পড়ে মনে হয়, ধুর ছাই, কী লিখলাম? এসব আর লিখবো না। ঘুমভাঙ্গা ভোরের মতো আবারও আমার আকাশে সূর্য ওঠে। ফোটে আলো। লিখতে বসে যাই আমি। মনন এবং চেতনাকে পাশাপাশি রেখে লিখতে চেষ্টা করি। ইচ্ছে করে প্রেম ভালোবাসার কথাগুলো সাজিয়ে লিখতে। ওসবের কত কিছুই না অজানা থেকে যায়! জীবনেও থাকে না বলা কতো কথা। কে রাখে সেই খবর!!