প্রি-অর্ডারের এই পণ্যটি 11 Jan 2025 তারিখে প্রকাশ পেতে পারে বলে প্রকাশনী থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষ কোন কারণে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ পরিবর্তন হতেও পারে.
কমিয়ে দেখুন
বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষনীয় সব অফার!
বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষনীয় সব অফার!
মোদ্দা কথা, কবিতা হচ্ছে শব্দ প্রয়োগের ছান্দসিক কিংবা অনিবার্য ভাবার্থের বাক্য বিন্যাস; যা একজন কবির আবেগ-অনুভূতি, উপলব্ধি ও চিন্তা করার সংক্ষিপ্ত রূপ এবং তা অত্যাবশ্যকীয়ভাবে উপমা-উৎপ্রেক্ষা-চিত্রকল্পের সাহায্যে আন্দোলিত করে। এই ‘আন্দোলন’ চৈতন্যে সংসিদ্ধ পাঠকদের হৃদয়তলে সার্থকভাবে তখুনি স্ফুরণ তোলে কবিতা যখন সংবেদনশীল শব্দাশ্রয়ের মাধ্যমে গভীর সঙ্কেত তৈরি করে। কবির নিজস্ব উদ্ভাবিত কিংবা আহরিত শব্দমালা কবিতার দেহভাষা শুধু নির্মাণ করে না, বর্ণিল আত্মাও। দশাবিপর্যয়েও যে আত্মার বিচ্যুতি ঘটে না বরং নির্ব্যুঢ় ঘোর প্রতিস্থাপন করে পাঠকদের ইন্দ্রিয়সমূহে। শব্দই কবিতার বিশুদ্ধ ক্লোরোফিল। কোলরিজের ভাষায়, best word in the best order. কখনও কখনও বহুমাত্রিক দ্যোতনার ওজোভারে বলিষ্ঠ একটিমাত্র শব্দের জন্যেও কবিকে চণ্ডীদাসের মতো ছিপ ফেলে অপেক্ষা করতে হয়।
জিল্লুর রহমান শুভ্র কর্তৃক ইংরেজিতে রচিত দুটো কবিতার বই Love and Fallen Leaves ও Bible of Love and Obscurity প্রকাশিত হয়েছে লন্ডন থেকে। বাংলায় এই প্রথম কবিতার বই প্রকাশিত হচ্ছে তার। আত্মশ্লাঘায় নির্মোহ এই কবি বিশ্বসাহিত্য থেকে কবিতার রূপ-রস-গন্ধ আত্মস্থ করার যৎকিঞ্চিৎ চেষ্টা করেন; বিধায় এই বইয়ে অন্তর্ভুক্ত কবিতাগুলো পাঠ করলে বোঝা যায় গতানুগতিক ধারার পক্ষপাতদুষ্ট কবিতা তিনি লেখেন না। ইতিহাস, পুরাণ ও প্রপঞ্চময় শব্দের মেলবন্ধন ঘটিয়ে এমন এক অক্সিটসিন তৈরি করেন--যা ইয়েটস ও জীবনানন্দীয় ভাবধারাকে প্রবাহিত করে মন ও মননের গভীরে। তার কবিতা জটিল, দুর্বোধ্য, আবার সহজও; তবে সহজ কবিতাকে তিনি দুর্বল কবিতা মনে করেন। এ সম্পর্কে তারই রচিত কবিতার দুটো লাইন বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য: ‘যারা প্রহেলিকার কৌপীন পরে খোঁড়ে না অন্ধকার;/তারা না কবি না কবুতর।’ বিশ্বব্যাপী হানাহানি, অর্বাচীন উন্মাদনা, মারি ও মড়কের এই অস্থির, ক্লেদাক্ত ও চণ্ডাল সময়ে তার ‘ঝাউপাতার ঝাঁপতাল’ হতে পারে ব্রহ্মকমল ফুলের ঘ্রাণ।
জন্ম : ১৯ মার্চ, ১৯৬৪ নওগাঁ জেলার ধামইর হাট থানাধীন ইশবপুর ইউনিয়নের রাংগাল ঘাট গ্রামে। ছিলেন স্কুলের মেধাবী ছাত্র, কিন্তু কলেজে গিয়ে জড়িয়ে পড়েন বাউণ্ডুলেপণায়। লেখাপড়ার গতি হয় ব্যাহত। দুর্ভাগ্য তাকে তাড়া করে ষাড়ের মতাে। পালিয়ে আসেন। ঢাকায়। জীবন ও জীবিকার তাগিদে পার হন এক এক করে অনেক বৈতরণী। কিন্তু থিতু হননি কোথাও। কিছু একটা হওয়ার তাগিদ অনুভব করতেন সেই শৈশব থেকে। সেই তাগিদ থেকে তুলে নেন কলম। শুরু করেন লেখালেখি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, এ জগত তার জন্য মােটেই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। কিন্তু তিনি সংকল্পে ছিলেন পাহাড়ের মতাে অটল। ফলে একের পর এক বাধা ডিঙিয়ে আজকের এ অবস্থানে আসতে পেরেছেন। বহুকোণ হীরকের মতাে মেধার বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছেন সেই সমস্ত লেখায়। তিনি পাঠককে নিয়ে যান এক অনাকাঙ্ক্ষিত ভুবনে। ফলে পাঠক হয়ে পড়েন মােহাবিষ্ট। শৈশবে পিতৃ-বিয়ােগের পর প্রচণ্ড টানাপােড়েনের মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠায় মানুষ, জীবন ও জীবনের অনুষঙ্গগুলাে তার কাছে পাথরের মতাে বাস্তব। ফলে অ্যাগােরাফোবিয়া ও আত্মশ্লাঘায় নির্মোহ এই লেখকের লেখায় প্রচুর সম্ভাবনার ইঙ্গিত স্পষ্ট। তিনি লিখে যাচ্ছেন অবিরাম। তিনি বই পড়তে ও গান শুনতে ভালােবাসেন।