এই গ্রন্থে লেখক বাংলাদেশের বিদ্যমান সমাজ ব্যবস্থার অমানবিক ও অসংগতিপূর্ণ দিকগুলো এবং সেই সাথে শাসক শ্রেণীর রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেন এবং তার সমাধান হিসেবে গোটা সমাজ ব্যবস্থার আমূল এবং বৈপ্লবিক পরিবর্তনের অপরিহার্যতার কথা বলেন। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার আমূল রূপান্তর বিষয়ে লিখতে যেয়ে তিনি মূলত দক্ষিণ এশিয়ার কমিউনিস্ট আন্দোলনের বিভিন্ন ধারা, সেসব আন্দোলনের অর্জন, সাফল্য-ব্যর্থতা এবং ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে ও পরে বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং তার গতিধারাকে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের ভিত্তিতে ও নির্মোহ বিশ্লেষণের মাধ্যমে ধারণ করার চেষ্টা করেছেন। নিজের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এ কাজ করতে যেয়ে তিনি ব্রিটিশ-ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ পর্বের কিছু উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই গ্রন্থে তুলে ধরেন এবং সেসব ঘটনার কারণ ও ফলাফল ব্যাখ্যা করেন।
এই গ্রন্থে লেখক বাংলাদেশের বিদ্যমান সমাজ ব্যবস্থার অমানবিক ও অসংগতিপূর্ণ দিকগুলো এবং সেই সাথে শাসক শ্রেণীর রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেন এবং তার সমাধান হিসেবে গোটা সমাজ ব্যবস্থার আমূল এবং বৈপ্লবিক পরিবর্তনের অপরিহার্যতার কথা বলেন। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার আমূল রূপান্তর বিষয়ে লিখতে যেয়ে তিনি মূলত দক্ষিণ এশিয়ার কমিউনিস্ট আন্দোলনের বিভিন্ন ধারা, সেসব আন্দোলনের অর্জন, সাফল্য-ব্যর্থতা এবং ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে ও পরে বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং তার গতিধারাকে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের ভিত্তিতে ও নির্মোহ বিশ্লেষণের মাধ্যমে ধারণ করার চেষ্টা করেছেন। নিজের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এ কাজ করতে যেয়ে তিনি ব্রিটিশ-ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ পর্বের কিছু উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই গ্রন্থে তুলে ধরেন এবং সেসব ঘটনার কারণ ও ফলাফল ব্যাখ্যা করেন।
লেখক মুইনুদ্দীন আহমদ ১৯৫৪ সালের ৩০শে অগাস্ট বরিশাল শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের আদি নিবাস বৃহত্তর বরিশাল জেলার তৎকালীন ভোলা মহকুমার দৌলত খাঁ থানার মদনপুরা গ্রামে। ১৯৫৮ সালে তাঁর আইনজীবী পিতা বরিশাল থেকে সপরিবারে ঢাকায় এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সেই থেকে তিনি ঢাকা শহরে বেড়ে ওঠেন। পেশাগত জীবনে তিনি একজন স্কুল শিক্ষক।
সরাসরি কোনো রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিক সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও ১৯৬৯ সালের আইয়ুব বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থান খুব কাছে থেকে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ তাঁর হয়েছিল। এই ঘটনা এবং অভিজ্ঞতা তাঁর মধ্যে প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও বিপ্লবী রাজনীতির প্রতি গভীর আগ্রহ সৃষ্টি করে। ১৯৮০ সালের শেষ দিকে তিনি সক্রিয় বিপ্লবী রাজনীতির সংস্পর্শে আসেন। বর্তমানে তিনি বাঙলাদেশ লেখক শিবিরের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোট এবং জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সদস্য। একই সাথে তিনি কমরেড বদরুদ্দীন উমর সম্পাদিত মাসিক ‘সংস্কৃতি’ পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
খুব নিয়মিত না হলেও মুঈনুদ্দীন আহমদ মাঝে মধ্যে লেখালেখি করেন। রাজনীতি, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর তাঁর লেখা বেশ কিছু সংখ্যক প্রবন্ধ বিভিন্ন সময়ে মাসিক ‘সংস্কৃতি’ পত্রিকা এবং অন্যত্র প্রকাশিত হয়েছে। মৌলিক সৃজনশীল লেখার পাশাপাশি তিনি কিছু অনুবাদের কাজও করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কমরেড বদরুদ্দীন উমরের ঊসবৎমবহপব ড়ভ ইধহমষধফবংয গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম অর্ধাংশের বাংলা অনুবাদ। তা ছাড়া “নারী-পুরুষ সম্পর্ক ধর্ম ও মার্কসবাদ” তাঁর লিখিত অন্যতম গ্রন্থ যা শ্রাবণ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে।