"বইটির প্রাসঙ্গিক কথা থেকে নেয়া" সূরা আন নিসার প্রায় শুরু থেকে এ পর্যন্ত শুধু হুকুকুল ইবাদের ওপরই নির্দেশ জারী হয়েছে তবে কিছু হক ফরজ করে দেয়া হয়েছে আর কিছু হক, মানবীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন মীরাসি আইন অর্থাৎ কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পরে তার ধন সম্পত্তির কে কতটুকুর হকদার তা আল্লাহ নির্ধারিত করে দিয়েছেন। তেমনিভাবে স্বামী-স্ত্রীর হক কার কতটুকু সেটাও আল্লাহ নির্ধারিত করে দিয়েছেন। যার কমবেশী করার কোন অধিকার কারও নেই। এগুলি হচ্ছে ফরজ হক। আর দ্বিতীয় প্রকার হক হচ্ছে লােকদেরকে উদ্বুদ্ধ করা মানবীয় দায়িত্ব পালনের জন্য। কিন্তু কাকে কি পরিমাণ অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে হবে এই পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি। তাই বলে এমন নয় যে কোন সুনির্দিষ্ট পরিমাণ উল্লেখ নেই বলে পরকালে এ ব্যাপারে কোন জবাবদিহি করতে হবে না; তা নয় বরং আল্লাহর কোন হক নষ্ট করলে আল্লাহ মাফ করবেন কিন্তু অন্যের (বান্দার) হক নষ্ট করলে আল্লাহ মাফ করবেন না। এমনকি আর কোন অপরাধে নয় শুধুমাত্র অন্যের হক নষ্ট করার কারণেই বহু লােককে জাহান্নামে যাওয়া লাগবে। উল্লেখিত আয়াতগুলি থেকে যে শিক্ষা পাওয়া যাচ্ছে তা নিম্নে দেয়া হল এবং পরে আল কুরআনের অন্যত্র যা বলা হয়েছে তারও কিছু কিছু এবং হাদিস থেকেও কিছু বর্ণনা করা হবে ইনশাআল্লাহ। | ব্যাখ্যাঃ আলােচ্য আয়াতগুলিতে আল্লাহ এমন দু’টি মৌলিক বিষয়ের। নির্দেশ দিয়েছেন যা বিহনে কোন উপদেশই কার্যকর হতে পারে না। আর তা হচ্ছে (১) এক আল্লাহর দাসত্ব কর (২) তার সাথে কাউকে শরীক করাে না। মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত এই দুইটি নির্দেশ না মেনে চলবে ততক্ষণ পর্যন্ত পরবর্তী কথাগুলি মেনে নেয়ার মত মন মানসিকতা তাদের মধ্যে সৃষ্টি হতে পারে না। এ জন্যে প্রথমেই বলা হল এক আল্লাহর দাসত্ব কর এবং তার সাথে কাউকে শরীক করাে না।