“আত্মার ব্যাধি ও প্রতিকার " বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ بسم الله الرحمن الرحيم نحمده ونصلی علی رسوله الكريم اما بعد؛ من ژین له شو عمله فرأه تئا قال الله تعالى (پ ۲۲ سورة فاطر رکوع ۲) . “(নম্ ও শয়তান কর্তৃক) যাহার কার্যকলাপকে (মরীচিকার মত) মােহনীয় ও আকর্ষণীয় করিয়া দেখানাে হয়; ফলে সে উহাকে সৎ ও সুন্দর কাজ বলিয়া মনে করে।” (পারা ২২, সূরা ফাতির, রুকূ' ২)। অন্যান্য পাপাচারের পাশাপাশি একে মাজাযী বা অসৎ প্রেম, কুদৃষ্টি ও এতদসংক্রান্ত অন্যান্য কার্যকলাপসমূহ যে গহিত ও জঘন্য কাজ- উক্ত আয়াতে সেদিকেও ইঙ্গিত রহিয়াছে। অথচ, অসৎ প্রেমপূজারী কবি-সাহিত্যিকগণ, তাদের নষ্ট-ভ্রষ্ট অনুসারীগণ ও এক শ্রেণীর সৌন্দর্যের মােহগ্রস্ত ভণ্ড ও মূখ ফকীর-দরবেশ স্রেফ নিজের যৌন লালসা চরিতার্থ করার জন্য এই সকল অপকর্মসমূহকে শুধু জায়েযই নয় বরং সুপ্রিয় ও প্রশংসনীয় বলিয়া প্রচার করে। এমনকি, ইহাদের অনেকে এই হারাম কর্মকে ছাওয়াবের কাজ ও ‘এশকে হাকীকী বা আল্লাহপ্রেমের ওছীলা সাব্যস্ত করিয়া হারাম ও বাতিলের বিষকে মধুর সহিত মিশ্রিত করিয়া স্বীয় মুরীদান, ভক্ত-অনুরক্ত ও শিষ্যদিগকে বিভিন্ন জঘন্য কর্মে, এমনকি যিনা-ব্যভিচারে পর্যন্ত লিপ্ত করিয়াছে। হাকীমুল উম্মত হযরত থানবী (রহ.) ‘তমীযুল এক্ মিনাল্ ফে’ (গর্হিত প্রেম ও প্রকৃত প্রেমের পার্থক্য) নামে একখানা পুস্তিকা প্রণয়ন করিয়াছিলেন। এশকে মাজাযী বা গর্হিত প্রেম যে কী জঘন্য গুনাহ এবং মানবাত্মার জন্য কী যন্ত্রণাদায়ক আযাব’ স্বরূপ, উক্ত পুস্তিকায় তিনি তাহাই বিশদভাবে তুলিয়া ধরিয়াছেন।