“বারো অভিযাত্রীর কাহিনী" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ “নিঃসঙ্গতার একশ বছর” এবং “কলেরার সময়ের প্রেম” এই দুটি অবিস্মরণীয় সাহিত্যকর্মের জনক গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের ছােটগল্প সংকলন “বারাে অভিযাত্রীর কাহিনী।” ইউরােপের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে থাকা ল্যাটিন আমেরিকান চরিত্রগুলােকে তুলে এনেছেন তিনি এ গ্রন্থে। ভাগ্যবঞ্চিত এক পিতা রােমে এসেছে পােপের সাথে দেখা করতে, সাথে নিয়ে এসেছে বেহালার বাক্সের সমান একটি বাক্স । বয়স্কা পথচারিণী বার্সেলােনার এপার্টমেন্টে প্রশিক্ষিত কুকুর সাথে নিয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে, কুকুরটাকে সে নিজে প্রশিক্ষণ দিয়েছে তার কবরের সামনে বসে কাঁদার জন্য। আতঙ্কিত এক স্বামী প্যারিসের এক হাসপাতালে স্ত্রীর কাটা আঙ্গুলের চিকিৎসা করাতে এসে ফেলে রেখে যায়, আর ফিরে আসেনি। মাঝ পথে গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ভুল করে এক মহিলা ঢুকে পড়ে মানসিক রােগীদের চিকিৎসাকেন্দ্রে এবং আটকা পড়ে যায়। আতঙ্ক, স্মৃতিকাতরতা, পরাবাস্তব হাস্যরস পরিচিত। স্থানগুলাের কাব্যিক বর্ণনা সব মিলিয়ে “বারাে অভিযাত্রীর কাহিনী” শাব্দিক জাল বুননের জাদুকরী ক্ষমতার অধিকারী লেখকের শ্রেষ্ঠ কীর্তিগুলাের একটি।
আলী আহমদের জন্ম ১৯৪৮ সালের ২২ আগস্ট। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এখন অবসর যাপনের পাশাপাশি লেখালেখি করে চলেছেন। দেশি-বিদেশি কথাসাহিত্য অনুবাদের সূত্রে খ্যাতিমান সমালােচনাও লিখে থাকেন। তিনি বাংলাদেশের সেইসব বিরল অনুবাদকের একজন যিনি বাংলা থেকে ইংরেজি এবং ইংরেজি থেকে বাংলা এই দুই ধারাতেই অনুবাদ করে। থাকেন। প্রায় তিন দশক ধরে এই দুই ধারাতে অনুবাদ করে আমাদের অনুবাদ-সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন চলেছেন।