ফ্ল্যাপ যায়যায়দিন ও মৌচাকে ঢিল-এর সেরা গল্পকার, সেরা লেখকদের একজন মোহিত কামাল। দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় বিভিন্ন ধারায় লেখালেখি করেন, ভারত থেকে প্রকাশিত সানন্দা’রও গল্পকার তিনি। মোহিত কামালের গল্পের মূল উপজীব্য বিষয় জীবন। জীবনকে তিনি বিজ্ঞান হিসাবে দেখেন। ফলে তাঁর গল্পের ভেতর থেকে বৈজ্ঞান হিসাবে দেখেন। ফলে তাঁর গল্পের ভেতর থেকে বৈজ্ঞানিক উপাদান বেরিয়ে আসে। ঘটনা পরম্পরায় জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত, দ্বন্দ্ব-হতাশা।, চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে থেকে উঠে আসে তাঁর চরিত্ররা। চারপাশে রয়েছে চরিত্রগুলোর ভিড়। খোলা চোখে প্রায় এদের দেখি না। চরিত্রগুলোর ভিড়। খোলা চোখে প্রায় এদের দেখি না। চরিত্রের আড়ালে লুকিয়ে থাকে চরিত্র, বাস্তব প্রেক্ষাপটে চলাফেরা করে। ’জোছনা রাতে বাড়িয়েছি হাত’ বইটিতে মোট বারোটি গল্প রয়েছে। অধিকাংশ গল্প দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক, পাক্ষিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রকাশিত। পাঠক নন্দিত। বিদেশেও প্রকাশিত। প্রতিটি গল্পে জীবনের স্বাতন্ত্র্য ধারার বাস্তবতার সন্ধান পাই আমরা। কয়েকটি গল্পে মানব মনের অচিন্তনীয় কিছু জটিল গিট উন্মেচিত হয়েছে। জটিলতার ইতিবাচক উপলদ্ধি আমাদের জীবনবোধ সমৃদ্ধ করবে। গল্পকার একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ-মনোগবেষক। তাঁর কলমের গতি ও উপস্থাপনার কৌশলটি প্রাঞ্জল। একারণে বইটি পাঠক হৃদয় আলোকিত করবে বলে বিম্বাস। নেতিবাচক আবেগ কীভাবে জীবন বিপর্যস্ত করে, নিয়তির টানে কীভাবে এগিয়ে চলি, প্রতিটি দিক জীবন খোঁড়া চরিত্রের মাধ্যমে উদ্ভাসিত হয়েছে। সবকিছুই বদলায়। জীবনের শুরু থেকে মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা বদলে যাই। স্থায়ী বলে কি কিছু আছে? সবকিছুই আপেক্ষিত। একদিক ভাঙে, অন্যদিক গড়ে। ভালোবাসা বাঙে, ভালোবাসা গড়ে। দেহ ভাঙে, যৌবন ভাঙে, জেনারেশেনও ভাঙে, বদলে যায়। জীবনের সত্য কোথায়? কোন অচিন ঘরে লুকিয়ে থাকে হাহাকার, ভালোবাসা? প্রকৃতির কোন গোপন টানে নিয়ন্ত্রিত হয় মানব মন?
সূচিপত্র জোছনা রাতে বাড়িয়েছি হাত চারপাশ যখন ভাঙতে থাকে লালবাতি ভালোবাসা রং বদলায় চোখাচোখি শেকল জয় পোস্টার ও কলম কাহিনী ছোবল চোখ ভুল এসো আমার ঘরে এসো
তিনি একদিকে কথাসাহিত্যিক, অন্যদিকে মনোশিক্ষাবিদ। ২০১৮ সালে কথাসাহিত্যে পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার। জাপানের ১২তম ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব সাইকিয়াট্রির ফেলোশিপ প্রোগ্রামে নির্বাচিত হন বিশ্বের প্রথম সেরা ফেলো। জন্ম ১৯৬০ সালের ২ জানুয়ারি সাগরকন্যা সন্দ্বীপে। এমবিবিএস করেছেন সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে। তিনি সাহিত্য-সংস্কৃতির মাসিক ’শব্দঘর’র সম্পাদক এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (এনআইএমএইচ)-এর একাডেমিক পরিচালক। ২০১২ সালে তাঁর মনস্তত্ত্ব বিষয়ক গ্রন্থ ‘মানব মনের উদ্বেগ ও বিষন্নতা’ কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য করা হয়।