ফ্ল্যাপে লিখা কথা ডেঙ্গুজ্বর থেকে চিকুনগুনিয়া, ওষুধের ভুল ব্যবহার থেকে শুরু করে অপচিকিৎসার কুফল-সব রকমের স্বাস্থ্য সমস্যা ও এর প্রতিকার নিয়ে বছর জুড়েই তার কলম থাকে সচেতন। চিকিৎক ও রোগীর সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত, রোগীর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হলেই কেন প্রথম সুযোগে এদেশে হাসপাতাল ভাঙচুর করা হয় কিংবা আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যা কীভাবে পাল্টে দিয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানে হালহকিকত- এই সব সামাজিক বিষয়ও তার থীক্ষ্ণ দৃষ্টি এড়িয়ে যান নি। এ কারণে অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহর স্বাস্থ্য বিষয়ক কলামগুলো কেবল ‘জ্বর হলে কী করবেন’ বা ‘হৃদরোগ হলে কী খাবেন না’ জাতীয় সদুপদেশ এর গণ্ডি ছাড়িয়ে জাতীয় ও আর্থসামাজিক সমস্যাগুলোর ওপর আলো ফেলে। প্রবন্ধগুলো তাই কেবল যে আপামর পাঠকদের কাজে আসবে তাই নয়, এগুলো পড়া উচিত নীতি নির্ধারক ও কর্তাব্যক্তিদেরও, যারা জনস্বাস্থ্য নিয়ে নানা দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। আর সব ক্ষেত্রের মত বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতও নান সমস্যা ও অভাবে পর্যুদস্ত। প্রাথমিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার হাল এখনো ঢালহীন তলোয়ারহীন নিধিরাম সর্দারের মতই। তারপরও সীমিত সম্পদ ও অধিকতর আন্তরিকতা নিয়ে কীভাবে দেশের স্বাস্থ্যসেবার মানকে এগিয়ে নেয়া যায় তা নিয়েও ভেবেছেন মেডিসিনের এই খ্যাত নামা অধ্যাপক। দেশ ও বিদেশে হাজার হাজার চিকিৎসক ইতিপূর্বে তার চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক বই পড়ে উপকৃত হয়েছেন। স্নাতকোত্তর চিকিৎসাবিজ্ঞানের ছাত্র ছাত্রীদের কাছে তার জনপ্রিয়তা ঈর্ষনীয়। হাল আমলে তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন সংবাদপত্রের পাঠকদের কাছেও, বিচিত্র ও বিভিন্ন বিষয়ে তার সুচিন্তিত ও সুলিখিত প্রবন্ধগুলোর কারণে। স্বাস্থ্যসমস্যা, এর প্রতিকার এবং স্বাস্থ্যসচেতনতা নিয়ে অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহর রচনাগুলো সচেতন পাঠকদের অবশ্যপাঠ্য বলেই বিবেচিত হবে অচিরে।