পরিমাজিত দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকা মহাবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এ-বছরের ঘোড়ার দিকে আটষট্টি বছরে পা রাখলেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী বর্তমান শিক্ষাবষের শেষে সেপ্টম্বরে তিনি‘ লুকেশিয়ান প্রফেসর অব ম্যাথমেটিকস’ পদ থেকে অবসর নেবেন।সাথে সাথেই তাঁকে সম্মানজনক ‘ইমেরিটাস লুকেশিয়ান প্রফেসর অব ম্যাথমেটিস’ পদ প্রদান করা হবে। আজীবন তিনি এ পদে বহাল থাকবেন। ‘ছোটদের মহাবিজ্ঞানী সিফেন হকিং প্রকাশিত হওয়ার পর তাঁর জীবনে অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। বর্তমানে তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন মহাকাশ অভিযানে বের হবার জন্য।হকিং জীবনের বহু বণিল কাহিনী নিয়ে বের হচ্ছে এ বইয়ের পরিবধিত দ্বিতীয় সংস্করণ। হকিং জীবনের তথ্য সংগ্রহের জন্য আমি তাঁর লিখিত বইপত্র ছাড়াও দেশি বিদেশি পত্র-পত্রিকা, ইন্টারনে ও ওয়েবসাইটের সাহায্য নিয়েছি। এর ফলে হালনাগাদ তথ্য সংযোজন সম্ভব হয়েছে। আমি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট ঋণ স্বীকার করছি। বইতে কয়েকটি অনন্য ছবিও সংযোজিত হয়েছে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে বইখানা প্রকাশের ব্যবস্থা করার জন্য উৎস প্রকাশনের নির্বাহী প্রধান লেখক-প্রকাশক মোস্তফা সেলিমকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি কৌতূহলী কিশোর পাঠক-পাঠিকাদের দ্বারা বইখানা সমাদৃত হবে। মো. আব্দুল আজিজ সিলেট ১ মার্চ, ২০০৯
পরিমাজিত প্রথম সংস্করণের ভূমিকা মহাবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এ যুগের এক বিম্ময়। যৌবনে পা দিতে না দিতেই এক দূরারোগ্য ব্যাধির তিনি শিকার হয়ে পড়েন। ফলে এক মস্তিষ্ক ছাড়া বলতে গেলে তাঁর গোটা শরীর হয়ে পড়ে অসাড়। এক পর্যায়ে তাঁর গলায় অস্ত্রোপচার করা হলে তিন হারিয়ে ফেলেন বাকশক্তি। এরপরও তিনি দমে যাননি।আধুনিক বিজ্ঞানের যান্ত্রিক কলাকৌশলের সাহায্যে তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন স্বাভাবিক কাজকর্ম। বেঁচে থাকার এক দুর্দমনীয় জেদই তাকে চালিত করে চলেছে সামনের দিকে।আর তিনি নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন এ মহাবিশ্বের রহস্যরাজির জটাজাল খুলতে। তাঁর কৌতূহলের বিষয়-আমরা কোথা থেকে এবং কী জন্য পৃথিবীতে এলাম। এর উত্তর খূঁজতে হকিং নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন-পদার্থবিদ্যা ও জ্যোতিবিদ্যা ও জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ে। তাঁর বিশ্বাস একদিন এমন একটি তত্ত্ব আবিষ্কৃত হবি যার সাহায্য পৃথিবীর সকল রহস্যের সমাধান সম্ভব হবে। বর্তমান গ্রন্থে স্টিফেন হকিং-এর জীবন কথা ছোটদের উপযোগী করে পরিবেশন করা হয়েছে। এ বই খানা লেখকের ‘মহাবিশ্বের মহাবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং’ এর ওপর ভিত্তি করে রচিত। ছোটদের বইখানা ভালোলাগলে শ্রম সার্থক বিবেচনা করব।
মো. আব্দুল আজিজ সিলেট জানুয়ারি ২০০৫
সূচীপত্র ১. স্টিফেন হকিং এর ছেলেবেলা ২. সেন্ট অ্যালবান্সের ক্ষুদে বৈজ্ঞানিক ৩. অগোছালো হকিং পরিবার ৪. তৈরি হলো যন্ত্রগণক-কম্পিউটার ৫. কেমব্রিজের দুঃসাহসী অভিযাত্রিক ৬. বিজ্ঞান জগতের এক নতুন তারকা ৭. অফুরন্ত আশাবাদ ও উদ্যমের জীবন্ত প্রতীক ৮. প্রচার মাধ্যমের বরপুত্র ৯. স্টেফেন হকিং যখন অক্সফোর্ডে ১০. সময়ের ইতিবৃত্তকার ১১. মৃত্যুর মুখে চুলকালি দিয়ে ১২. অন্তরঙ্গ আলোকে স্টিফেন হকিং ১৩. অসীমের যাত্রাপথে ১৪. তাঁর এ পথ চলাতেই আনন্দ
১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে ৩১ মার্চ সিলেটের তদানীন্তন বালাগঞ্জ থানার এক নিভৃত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দেশে বিদেশে শিক্ষা জীবন শেষে তিনি অর্থনীতি বিষয়ে অধ্যাপনা করেছেন দেশের প্রধান কয়েকটি কলেজে, অধ্যক্ষ ছিলেন নোয়াখালী কলেজ, নরসিংদী কলেজ ও সিলেট এমসি কলেজে। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড ও কুমিল্লার শিক্ষাবোর্ডে। ১৯৯৩ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে রেজিস্ট্রার, খণ্ডকালীন শিক্ষক ও ট্রেজারার নিযুক্ত হন। পরে নবপ্রতিষ্ঠিত সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে যোগ দেন ও বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত থাকার পর ইউনিভার্সিটির উপাচার্য নিযুক্ত হন। সে পদের মেয়াদান্তে বর্তমানে তিনি এমেরিটাস প্রফেসর। একজন নিষ্ঠাবান গবেষক ও লেখক প্রফেসর আজিজ বিভিন্ন বিষয়ে ২৩টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। এছাড়া কয়েকটি স্মারক গ্রন্থ ও ইতিহাস গ্রন্থের সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রকাশিতব্য সিলেট জেলা গেজেটিয়ারের সম্পাদনা পরিষদেরও তিনি একজন সদস্য। জেনারেল ওসমানীর পিতা খান বাহাদুর মফিজুর রহমান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ছদরুন্নেছা এমই মাদ্রাসার স্কুল বিভাগে পড়াশোনা করার সুযোগে তিনি তাঁর পরিবার সম্পর্কে জানাশোনারও সুযোগ লাভ করেছিলেন। ২০০০ সালে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও সর্বাধিনায়ক ওসমানী' নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও ওসমানী সম্পর্কে তাঁর লেখা প্রবন্ধ বিভিন্ন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে।