"রচনাসমগ্র-২" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ জননেত্রী শেখ হাসিনার রচনাসমগ্র প্রকাশিত হলাে। এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য সামান্য নয়। বাংলার রাজনীতিকদের মধ্যে লেখালেখি করেছেন এমন ব্যক্তিত্বের সংখ্যা অঙ্গুলিমেয়। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, নেতাজী সুভাষ বসু, কমরেড ভবানী সেন, কমরেড মুজফফর আহমদ, আবুল হাশিম, আবুল মনসুর আহমদকে বাদ দিলে বড় মাপের রাজনীতিকদের লেখালেখি যৎসামান্য। শেখ হাসিনা তাঁর মহান পিতার সুযােগ্য উত্তরসুরি হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক সংগ্রাম ও অর্থনৈতিক মুক্তির লড়াই এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সৃষ্ট বাংলাদেশের চার রাষ্ট্রনীতিভিত্তিক মৌলিক সত্তা রক্ষায় যেমন অঙ্গীকারদীপ্ত নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তেমনি লেখালেখির মাধ্যমেও তার চিন্তা-চেতনা ও রাজনৈতিক আদর্শের প্রতিফলন ঘটিয়ে চলেছেন। তাঁর রচনাসমগ্রে স্থান পেয়েছে নিম্নোক্ত বইগুলাে : ওরা টোকাই কেন (১৯৮৯), বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম (১৯৯৩), দারিদ্র্য দূরীকরণ : কিছু চিন্তাভাবনা (১৯৯৫), বৃহৎ জনগােষ্ঠীর জন্য উন্নয়ন (১৯৯৯), বিপন্ন গণতন্ত্র, লাঞ্ছিত্ত মানবতা (২০০২), সহে না মানবতার অবমাননা (২০০৩), সাদা কালাে (২০০৭ এবং অপ্রকাশিত প্রবন্ধ। জননেত্রী শেখ হাসিনার বইয়ের নামের তালিকাটি তাৎপর্যপূর্ণ। ওই তালিকার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালে বর্তমান বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক এবং আর্থসামাজিক অবস্থাও নজর করা যায়। তার রচনাসমগ্রের এই খণ্ডটি পাঠককে দেশের এক প্রধান রাজনৈতিক নেতা ও প্রধানমন্ত্রী এবং সাবেক বিরােধীদলীয় নেত্রী ও জনগণের পক্ষের লড়াকু সংগ্রামীর ভূমিকায় নানা পর্বে অংশগ্রহণকারীর চিন্তাচেতনা ও রাজনৈতিক দর্শনের সঙ্গে পরিচিত করবে। সবচেয়ে বড় কথা বাংলাদেশে এই প্রথম একজন বিপুল জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতার রচনাসমগ্র প্রকাশিত হলাে। এক্ষেত্রে তিনি পথিকৃৎ হয়ে থাকার গৌরব অর্জন করলেন।