"আনন্দসঙ্গী রবিবারের গল্প " বইয়ের পিছনের কভারের লেখা : দৈনিক সংবাদপত্র দ্রুত অতীত হয়ে যায়, কিন্তু সেখানে প্রকাশিত অন্যান্য নানা সৃষ্টির মতােই, ছােটগল্প অতীত হয় না, এমনকী যুগ বদলে গেলেও তার আকর্ষণ ফুরিয়ে যায় না,। পুরনাে কালের গল্পকে নতুন কালের পাঠক নতুন মন নিয়ে পড়েন, তার নতুন অর্থ খুঁজে পান। তাই পুরনাে গল্প নতুন করে পরিবেশনের একটা গুরুত্ব থেকেই যায়। ইতিপূর্বে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পের একটি সংকলন প্রকাশিত হয়েছিল ‘আনন্দসঙ্গী’নামে। এ বার আনন্দসঙ্গী-র নতুন ধারায় প্রথম প্রকাশনা হিসেবে সংকলিত হল রবিবারের গল্প। প্রকাশনার সময়ের বিচারে ১৯৩৯ থেকে ২০০৪, গল্পকারের বয়ঃক্রমের হিসাবে বনফুল থেকে আবুল বাশার–নানা দিক থেকেই বাংলা ছােটগল্পের বিবর্তনের একটি মূল্যবান দলিল। এই সংকলন তসলিমা নাসরিন যেমন বলেছেন, “আনন্দবাজার পত্রিকায় ছাপা হওয়া গল্প থেকে বাছাই করা কিছু গল্প নিয়ে এই সংকলনটি, উনিশশাে ঊনচল্লিশ সাল থেকে। দু’হাজার চার পর্যন্ত প্রায় ছযুগ দীর্ঘ একটি জীবনের সময়। অল্প কিছু গল্প কিন্তু একই সঙ্গে এটি একটি সময়ের দলিল। কী করে ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে দেখার চোখ, সেটিই দেখার ফলে এই বইয়ের আয়নায় ধরা দিয়েছে। পাল্টানাে সময়পটে মানুষের মনের বিচিত্র আলাে-আঁধারি। ফলে স্থান, কাল আর পাত্রপাত্রী মিলিয়ে এই গল্পের বই এক অনন্য সম্ভার। ছােট ছােট গল্পে জীবনের বৃহৎ উদ্ভাস।
আনন্দবাজার পত্রিকা পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত একটি ভারতীয় দৈনিক পত্রিকা। কলকাতার এবিপি প্রাইভেট লিমিটেড এর প্রকাশক। প্রকাশ-সংখ্যার ভিত্তিতে এটি ভারতে বাংলা ভাষায় বহুল প্রচারিত দৈনিক। কলকাতা, নয়া দিল্লি, ভুবনেশ্বর, রাঁচি, শিলিগুড়ি ও ভারতের অন্যান্য শহর থেকে নিয়মিত এটি দশ লক্ষেরও অধিক সংখ্যায় প্রচারিত হয়। দেখতে দেখতে আনন্দবাজার পত্রিকা শতবর্ষের দ্বারপ্রন্তে উপনীত, এটা এই দৈনিক সংবাদপত্রের ৯৭তম বর্ষ। ইন্ডিয়ান রিডারসিপ সার্ভে অনুসারে, পত্রিকাটি ১৫৬ লাখ মানুষ পাঠ করেন।