সারসংক্ষেপ ইসলামে ‘হাদীস’ জ্ঞানের দ্বিতীয় প্রধান উৎস। ‘হাদীস’ না হলে ইসলাম পরিপূর্ণরূপে পালন করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে মহান আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞানের উৎস হলো- কুরআন, সুন্নাহ ও আকল/Common sense /বিবেক। উৎস তিনটির মধ্যে আকল/Common sense /বিবেকের ভূমিকা দারোয়ান তুল্য। জীবন সম্পর্কিত পরিপূর্ণ জ্ঞানার্জন করতে হলে উৎস তিনটির যথাযথ ব্যবহার অপরিহার্য। বর্তমান মুসলিম সমাজে আকল/Common sense / বিবেক জ্ঞানের উৎস হিসেবে চালু নেই। এর ফলে দারোয়ান না থাকায় ইসলামের ঘরের অনেক মূল তথ্য চুরি হয়ে গেছে। মানব সভ্যতার শত্রু ইবলিস শয়তান ও তার দোসররা যে পদ্ধতিতে আকল/ Common sense /বিবেককে ইসলামী জ্ঞানের উৎস হতে বাদ দিতে সক্ষম হয়েছে সে একই কর্মনীতির মাধ্যমে তারা হাদীসকে জ্ঞানের উৎস হতে বাদ দেওয়ার প্রচেষ্টায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বর্তমানে আহলুল কুরআন নামের একটি দল দ্রুতবেগে এগিয়ে আসছে। এরা কুরআন মানে কিন্তু হাদীস মানে না। বর্তমান মুসলিম সমাজে হাদীস সম্পর্কিত চালু থাকা দুটি কথা আহলুল কুরআনদের সমর্থক সংগ্রহে দারুণভাবে সাহায্য করছে। কথা দুটি হলো- ১. (প্রচলিত) সহীহ হাদীস কুরআনের বিপরীত হলেও তা মানতে হবে বা তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যাবে না ২. হাদীস কুরআনকে রহিত করতে পারে। এ কথা দুটি অবশ্যই যেকোনো আকল/Common sense /বিবেক সম্পন্ন মুসলিমকে হাদীসের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ করে তুলবে এবং তুলছে। আর এ মানুষগুলোর অনেকে আহলুল কুরআনদের দলে ভিড়ে যাচ্ছে। আহলুল কুরআনরা সফল হলে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষটির মানবকল্যাণমূলক অসংখ্য কথা হারিয়ে যাবে। ফলে মানবসভ্যতা অপরিসীম ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বর্তমান মুসলিম বিশ্বের হাদীস প্রিয় অসংখ্য আলিম ও সাধারণ মানুষ এ ষড়যন্ত্র সম্পর্কে একেবারেই অবগত নন। তাই তারা প্রচলিত হাদীসশাস্ত্রের সংস্কারমূলক যেকোনো কথা শুনলে তাকে হাদীস বিরোধী কথা মনে করেন। আশা করা যায় পুস্তিকায় উল্লিখিত তথ্যগুলো জানার পর প্রচলিত হাদীসশাস্ত্রে উল্লেখ থাকা ‘হাদীস’ ও ‘সহীহ হাদীস’ সম্পর্কে প্রকৃত তথা মুসলিম জাতি জানতে পারবে। ফলে যারা যথাযথ অবস্থানে আছেন তারা প্রচলিত হাদীস-শাস্ত্রের সংস্কারের জন্য জরুরিভিত্তিতে এগিয়ে আসবেন এবং হাদীসকে জ্ঞানের উৎস থেকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন।
Title
গবেষণা সিরিজ - ১৯ : প্রচলিত হাদীসশাস্ত্রে সহীহ হাদীস বলতে নির্ভুল হাদীস বুঝায় কি?
অধ্যাপক ডাঃ মতিয়ার রহমান একজন কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান, ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, দি বারাকাহ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান এবং কোরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।