সারসংক্ষেপ ‘ভাগ্য পূর্বনির্ধারিত’ বা ‘কপালের লিখন না যায় খনন’ কথা দুটি সারাবিশ্বে বহুল প্রচারিত এবং প্রায় সকল মানুষ জানে ও বিশ্বাস করে। অন্য দিকে রোগ চিকিৎসা, বিচারের রায় নিজের পক্ষে পাওয়া, ভালো শিক্ষা লাভ করা ইত্যাদির জন্য সকল মানুষ ভালো চিকিৎসক, ভালো উকিল, ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি খোঁজে। সহজে বুঝা যায়- বিশ্বাস ও আচরণটি সম্পূর্ণ বিরোধী। কারণ- ‘ভাগ্য পূর্বনির্ধারিত’ বা ‘কপালের লিখন না যায় খ-ন’ কথা দুটি যদি সঠিক হয় তবে ভালো চিকিৎসক, উকিল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলে ফল যা হবে খারাপ চিকিৎসক, উকিল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলে ফল একই হবে। কিন্তু বিশ্বাস ও আচরণটি মানব সমাজে আবহমান কাল ধরে আছে। মুসলিমগণ ‘ভাগ্য পূর্বনির্ধারিত’ বা ‘কপালের লিখন না যায় খনন’ কথা দুটি জানে কুরআন ও হাদীসে থাকা ‘তাকদীর’ বা ‘কদর’ পূর্বনির্ধারিত কথাটির অর্থ ‘ভাগ্য পূর্বনির্ধারিত’ বলে জানার মাধ্যমে। অবাক বিস্ময় হলো কুরআন ও হাদীসে ‘তাকদীর’ বা ‘কদর’ পূর্বনির্ধারিত কথা দুটি যেমন আছে তেমনি আছে কাজের ফল বা পরিণতি পূর্বনির্ধারিত নয় এমন তথ্য ধারণকারী অনেক স্পষ্ট বক্তব্য। আবার কুরআন স্পষ্ট করে বলেছে- কুরআনে কোনো পরস্পর বিরোধী কথা নেই। তাই, মুসলিমগণ কেন কুরআন ও হাদীসে থাকা ‘তাকদীর’ বা ‘কদর’ পূর্বনির্ধারিত কথাটির প্রকৃত অর্থ বের করার জন্য গবেষণা চালিয়ে গেল না তা এক বিস্ময়কর বিষয়।
Title
গবেষণা সিরিজ-১৭: তাকদীর (ভাগ্য!) পূর্বনির্ধারিত তথ্যটির প্রচলিত ও প্রকৃত ব্যাখ্যা
অধ্যাপক ডাঃ মতিয়ার রহমান একজন কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান, ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, দি বারাকাহ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান এবং কোরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।