"খনামিহিরের ঢিপি" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: খানামিহিরের ঢিপি’ খুব জটিল দূর অতীত। প্রাগৈতিহাসিক অতীত, ও বর্তমান সময়ের বিভিন্ন প্রজন্মের ভাজ খুলে খুলে দেখতে চাওয়ার কাহিনি। আদিম অরণ্যের জীবন থেকে উঠে এসেছে মাতঙ্গী, রঙ্কা, মধুরা, নিমেষ, ভগ, অর্যমা। সমসময়ের প্রতিনিধি রঞ্জা, ঈশা, নিশীথ, সুবীর। এদেরকে নিয়ে আবর্তিত হয়েছে কাহিনি। গল্পের আশ্চর্য নির্মিতি ও মন্থনে উছলে উঠেছে প্রশ্নের পর প্রশ্ন। লিঙ্গ বিভাজন কেন, কবে থেকে, কী রকম? ভয়াবহ এর ইতিহাস। ক্রমবিকাশের ধারা ভয়াবহ এখনকার স্বরূপ। মেয়েদের জন্য সে-সব নীতি-নিয়ম মূল্যবােধ আলাদা করে তৈরি করে যুগের পর যুগ তাদের ওপর, সমাজের ওপর চাপানাে হয়েছে। মগজ-ধােলাই করা হয়েছে। তার চেহারাটা যেমন স্কুল, তেমনই সূক্ষ্ম। একই সমাজে পুরুষের জন্য এক নীতি মেয়েদের জন্য আর এক এবং সে-নীতির চাহিদা অতর্কিতে বদলে যায়। যখন যেমন বলছে তেমন করে তৈরি হতে হবে মেয়েদের। এই বলছে সুন্দরী, শান্তস্বভাব বিশিষ্ট ঘরােয়া পাত্রী চাই, সে পাত্রী পেল তাে তার চাহিদা বদলে গেল, উপার্জন। করাে, নানা গুণ অর্জন করাে, নইলে মার খাও। এই স্বৈরাচারী পুরুষ-চরিত্র ও পারিবারিক হিংসার চিত্র তুলে ধরেছেন লেখিকা। দেখিয়েছেন সতীদাহর অন্তর্গত ক্রুর বর্বরতা এখনও পরিবারে পরিবারে চালিয়ে যাচ্ছে। উচ্চশিক্ষিত পদস্থ মানুষও। সমাধান কোথায় ? কোন ভ্রান্তির কারণে মানুষ জাতি সভ্য হতে পারছে না? উত্তর খুঁজেছেন লেখিকা।
বাণী বসু একজন বাঙালি ভারতীয় লেখক, লেখক, সমালোচক এবং কবি। তিনি বিখ্যাত স্কটিশ চার্চ কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষালাভ করেন। তিনি জন্মভূমি মতিঝুমির প্রকাশনার সাথে উপন্যাস লেখক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। একজন প্রফুল্ল লেখক, তাঁর উপন্যাসগুলি নিয়মিত বাংলার প্রখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা দেশে প্রকাশিত হয়। তার প্রধান কাজগুলির মধ্যে রয়েছে সোয়েথ পাঠেরার থালা (মার্বেল সালভার), একুশে পা (একুশের ধাপ), মৈত্রেয়া যাকাত (স্ট্রি দ্বারা মৈত্র্যের জন্ম হিসাবে প্রকাশিত), গান্ধারভি, পঞ্চম পুরুষ (পঞ্চম পুরুষ, বা পঞ্চম প্রজন্ম?) এবং অষ্টম গর্ভা (অষ্টম গর্ভাবস্থা)। তিনি আন্তরঘাট (ট্রেজন), এবং মৈত্র্য্য জাট্টা জন্য আনন্দ পুরষ্কারের জন্য তারশঙ্কর পুরষ্কার জিতেছিলেন। তিনি সুশিলা দেবী বিড়লা পুরস্কার এবং সাহিত্য সেতু পুরস্করের প্রাপক। তিনি ব্যাপকভাবে বাংলাতে অনুবাদ করেন এবং প্রবন্ধ, ছোট গল্প এবং কবিতা লিখেছেন। বঙ্গ বসুকে বাংলা সাহিত্যে অবদান রাখার জন্য, ভারতের একাডেমীর সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার, সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার ২010 প্রদান করা হয়েছে।