‘মজার কমপিউটার’ বইটির সারাংশঃ কমপিউটার একটা মজার যন্ত্র যা হাজারো কাজ করতে পারে। সেই আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের সেই দৈত্যর মত। এই কমপিউটার কিন্তু এক দিনে তৈরি হয়নি। ১৭৯১-১৮৭১ সালে চার্লস বাবেজ যে এ্যানালিটিক্যাল এঞ্জিন তৈরি করেন সেইটি সম্ভবত প্রথম আধুনিক কমপিউটার। যা কালক্রমে বিভিন্ন পরিবর্তনের ফলে আজকের এই অবস্থায় এসেছে। প্রথম দিকে খুব বড় আকাড়ে কমপিউটার তৈরি করা হত এগুলোর নাম Mainframes কমপিউটার। যার দাম ছিল খুব বেশি পরে আস্তে আস্তে মিনি কমপিউটার এবং শেষে মাইক্রো কমপিউটার তৈরি করা হয়েছে। একটি কমপিউটারের কয়েকটি অংশ থাকে যথা ইনপুট, আউটপুট, মেমরি, পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট, সেন্ট্রাল প্রোসেসিং ইউনিট বা (সিপিইউ) ইত্যাদি। প্রথম দিকে কমপিউটার তৈরি করা হত ভাল্ব দিয়ে, যেটি অল্প সময়ের মধ্যে খুব গরম হয়ে যেতো যার কারণে একটানা বেশে সময় চালানো যেতো না এবং বিদ্যুৎ খরচও খুব বেশি হতে। পরে ট্রানজিস্টার তৈরি করা হল যা কয়েকটি ভাল্ব এর কাজ করতে পারতো এবং আকারে অনেক ছোট ছিল। এইটি ভাল্ব-এর থেকে অনেক কম গরম হতো যার কারণে এই সময়ের কমপিউটার আগের কমটিউটারের থেকে বেশি সময় ধরে চলতে পারতো এবং অগের থেকে অনেক কম বিদ্যুৎ খরচ হতো। এই সময় বিজ্ঞানিরা মিনি কমপিউটার তৈরি করতে শুরু করে। এর পর চিপ্স তৈরি করা হয়, যা আকারে অনেক ছোট এবং একটি চিপ্স দিয়ে কয়েকটি থেকে কয়েক হাজার ট্রানজিস্টারের কাজ করা যায় এবং আগের থেকে অনেক কম স্থান ও কম তাপ উৎপন্ন করতো এবং বিদ্যুৎ খরচ অস্বাভাবিক ভাবে কমে গেলো এই সময় বিজ্ঞানিরা ব্যাক্তিগত কমপিউটার তৈরি করা শুরু করে। কমপিউটার বাইনারি পদ্ধতিতে কাজ করে যা কোড করে প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়।
জন্ম : ১৮ই জানুয়ারী ১৯৪১ সন, কৃষ্ণনগর শহরে। লেখাপড়া : কৃষ্ণনগর গভর্মেন্ট কলেজ ও প্রেসিডেন্সি কলেজ। কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ণশাস্ত্রের পি-এইচ. ডি.। অধ্যাপনা শুরু করেন ১৯৬৪ সনে প্রথমে মৌলানা আজাদ কলেজে। পরে কোলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ ও কৃষ্ণনগর গভর্মেন্ট কলেজ। - পার্থসারথি চক্রবর্তী যে খুব বেশীদিন সাহিত্য রচনা করছেন এমন নয়। তবু, এরই মধ্যে তিনি হয়ে উঠেছেন বাংলা কিশোর সাহিত্যের অতি প্রিয় ও অপরিহার্য একটি নাম। বিজ্ঞানের রহস্যকে ছোটদের কাছে গপের মতো মনোগ্রাহী করে তুলতে তাঁর রচনার তুলনা মেলা ভার। তাছাড়া বিষয়বস্তুকে কৌতুহলকর, আকর্ষণীয় ও মজাদার করে তুলতে হয় কোন যাদুতে—তাও তাঁর অজানা নয়। দীর্ঘদিন অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত থাকায় সরস করে বিজ্ঞানের কাজের কথা লিখবার দিকেই তাঁর ঝোঁকটা বেশী। বাংলা সাহিত্যে বিজ্ঞানের উপর ছোটদের জন্য সরস করে লেখা নির্ভরযোগ্য বই এমনিতেই দুর্লভ। পাথসারথি চক্রবর্তী যে শুধু, সেই অভাব পুরণ করে চলেছেন তাই নয়—তাঁর কলমের গুণে সেই লেখা হয়ে ওঠে কখনও ম্যাজিকের মতো, কখনও আজব কাহিনীর মতো অথবা মজার খেলার মতো চিত্তাকর্ষক। ছোটদের মহলে তাই তাঁর বই নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যায়। তাঁর লেখা কয়েকটি বিখ্যাত বই : ‘কেমিক্যাল ম্যাজিক’, ‘চিকিৎসা বিজ্ঞানের আজব কথা’, ‘রসায়নের ভেলকি, ‘ম্যাজিকের মতো মজা’, ‘তত সহজ ছিল না। | বৃটিশ গভর্মেন্টের ফেলোসিপ নিয়ে গ্রেট বৃটেন ও ইউরোপের বহু, দেশ ঘুরে এসেছেন। আন্তর্জাতিক সংস্থা UNICEF-এর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা বিভাগে বহু শিক্ষা অধিকর্তার পদে নিযুক্ত আছেন।