ভূমিকা আকাশে চাঁদ উঠেছে। তা লক্ষণ দেখে বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু এক খণ্ড মেঘ চাঁদের ওপর এমনভাবে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে, যে আমরা চাঁদটিকে দেখতে পাচ্ছি না। তবে মেঘের বিভিন্ন কিনারে চাঁদের অস্তিত্ব রয়েছে, সে সম্পর্কে সন্দেহ করার কোনো কারণ নেই। তবে এই সন্দেহমুক্ত অবস্থাকে আমাদেরকে খুব বেশি তৃপ্তি দিতে পারছে না, কারণ আমরা চাচ্ছি সরাসরি চাঁদের মুখোমুখী হতে, এবং তার অম্লান মুখখানি দেখতে। তাহলে আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে। মেঘ খণ্ড চাঁদের মুখো ঘোমটা হয়ে আর থাকবে না, দূর হয়ে যাবে।
আমাদের প্রতিটি ব্যক্তির অন্তরে সত্যের চাঁদ জ্বল জ্বল করছে। কিন্তু তার সামনে কিছু মেঘ আমাদের অন্তরকে সেই সত্যের রূপ দেখা থেকে বিরত রাখছে। আমরা যদি এই মেঘ কেটে যাওয়ার জন্য শত শত বছর ধ’রে অপেক্ষা করি তবুও হয়তো সফল হব না, যদি এই মেঘকে আমরা না চিনি। মানুষের জন্য সেই বিষয়টি আর ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায় না, যার রহস্য সে জানতে পারে। মেঘ সত্য এবং অন্তরের মাঝে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ সেই মেঘ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান আহরণ করা না যায়। কিন্ত মেঘের রহস্য জানা হয়ে গেলে মেঘের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যায়। বিশেষ করে সত্যের প্রসঙ্গে মেঘ ব’লে আমরা যা বোঝাচ্ছি তা মূলত বাইরে থেকে চাপিয়ে দেয়া কোনো পরিস্থিতি নয়, বরং আমরা সত্যকে দেখার উপযুক্ত নই ব’লেই আমাদের দৃষ্টির দরিদ্র্যই, এই মেঘ সৃষ্টি করে। ফলে আমরা যখনই সত্যকে দেখতে চাইব, তখনই আমাদের অন্তরের সামনে এই মেঘ এসে হাজির হবে, এবং এ থেকে রেহাই না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের অন্তর কখনোই সত্যকে দেখবে না। তাহলে আসুন আমরা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করার মাধ্যেমে সত্যের উজ্জ্বল চাঁদকে দেখার চেষ্টা করি।
প্রখ্যাত লেখক এস. এম. জাকির হুসাইন এর বই সমগ্র ইংরেজি ভাষা থেকে শুরু করে সাহিত্য, ইতিহাস, আধ্যাত্মিকতা, ম্যানেজমেন্ট, গণিত, দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, ধর্মতত্ত্ব, সমাজবিজ্ঞান, মনস্তত্ত্বসহ নানাবিধ বিষয়ের উপর লিখিত। মাত্র ২৩ বছর বয়সে লেখালেখি শুরু করা এস. এম. জাকির হুসাইন এর বই সংখ্যা এখন ৩৬০। বিভিন্ন বিষয়ে, বিশেষ করে ইংরেজি ভাষাশিক্ষায় তার বইগুলো বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। প্রগতিশীল আধ্যাত্মিকতায় বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী লেখকদের একজন এস. এম. জাকির হুসাইন এর জন্ম ১৯৭১ সালের ৩১শে অক্টোবর, খুলনা জেলার এক ছোট্ট গ্রামে। বাবার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে শিশু বয়সেই জ্ঞানচর্চা আর লেখালেখিতে উদ্বুব্ধ হন তিনি; অনানুষ্ঠানিকভাবে লেখালেখি শুরু করেন ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকেই। পড়ালেখায় তিনি ছিলেন দুর্দান্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সে এম.বি.এ এবং এমফিল সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তার ফলিত ভাষাবিদ্যায় মাস্টার্স ডিগ্রী আছে, এম.এস.সি করেছেন কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও। এস. এম. জাকির হুসাইন এর বই সমূহ ছোট-বড় সব বয়সের মানুষের জন্য পাঠোপযোগী। কর্মজীবনে শিক্ষকতা, ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজ করলেও লেখালেখিই তার মূল আকর্ষণ। ভাষার উপর দারুণ দখল থাকায় ইংরেজি ভাষা শিক্ষা, ব্যাকরণ, শ্রবণ এবং লিখিত দক্ষতার উপর তিনি অসংখ্য বই লিখেছেন। ভাষা শিক্ষার বইয়ের পাশাপাশি ‘বাংলাভাষা পরিক্রমা’, ‘ধ্যানের শক্তি ও নবজীবন’, ‘অন্ধকারের বস্ত্রাহরণ’ (দুই খণ্ড), ‘গোপন মৃত্যু ও নবজীবন’ ( দুই খণ্ড) ইত্যাদি বইও তার বই সমূহের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয়।