বইটির সূচিপত্র: * বাঙলাদেশে মার্কিন অনুপ্রবেশ * ‘গণমুখী’ বক্তৃতা * আওয়ামী লীগের জাতীয়করণ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে * ভারত-বিরােধিতা ও সাম্প্রদায়িকতা * জাতীয় রাজনীতিক্ষেত্রে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ভূমিকা * আওয়ামী লীগ সরকারের শ্রমনীতি * সংবাদপত্র ও প্রকাশনার স্বাধীনতা * আওয়ামী লীগ প্রস্তাবিত সংবিধান * শাসনতন্ত্র প্রশ্নে বিরােধী দলগুলির ভূমিকা * আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতি রক্ষা * বাঙলাদেশের সংবিধান ও পরবর্তী নির্বাচন * আইয়ুব খানের অস্ত্রাগার * আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা * বাঙলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তি * বাঙলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা * বাঙলাদেশে শ্রমিক হত্যা * জাতি সমস্যা ও ভাষা আন্দোলন * আওয়ামী লীগের “শুদ্ধি অভিযান” প্রসঙ্গে * মাধ্যমিক শিক্ষক ধর্মঘট প্রসঙ্গে * মুদ্রাযন্ত্র ও প্রকাশনা অর্ডিন্যান্স * ত্রিদলীয় ঐক্যজোট ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন * ১৯৪৮ সাল থেকে পশ্চিম এশিয়ায় দু'ধরনের যুদ্ধ চলছে * বাঙলাদেশের নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি * বাঙলাদেশের নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি * ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে * সংসদীয় বিরােধী দলসমূহের ঐক্য প্রসঙ্গে * দালাল আইনে আটক ব্যক্তিদের মুক্তি প্রসঙ্গে * জনগণ গণতান্ত্রিক বিরােধী দলগুলির ঐক্য কেন চাইছেন ? * ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের তাৎপর্য * বাঙলাদেশ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও স্বীকৃতি প্রসঙ্গে * প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও বাঙলাদেশের স্বাধীনতা * প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ও বাঙলাদেশের সাম্রাজ্যবাদী প্রভাব * সাম্রাজ্যবাদের যুগে জাতীয়তাবাদ * গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও স্বতঃস্ফুর্ততা
বদরুদ্দীন উমরের জন্ম ১৯৩১ সালের ২০ ডিসেম্বর পশ্চিম বাঙলার বর্ধমান শহরে। মার্কসবাদী তাত্ত্বিক, রাজনীতিবিদ, প্রাবন্ধিক ও ইতিহাসবিদ হিসেবে তিনি বাঙলাদেশে সুপরিচিত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম. এ. পাশ করার আগেই ১৯৫৪ সালে দর্শন বিভাগে অস্থায়ীভাবে শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৫৫ সালে এম. এ. পাশ করার পর ১৯৫৬ সালে চট্টগ্রাম সরকারী কলেজে এবং ১৯৫৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬১ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় হতে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি এই তিন বিষয়ে অনার্স ডিগ্ৰী অর্জন করেন। ১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগেরও তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা। ষাটের দশকে প্রকাশিত তাঁর তিনটি বই সাম্প্রদায়িকতা (১৯৬৬), সংস্কৃতির সংকট (১৯৬৭) ও সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা (১৯৬৯) তত্ত্বকালে বাঙালী জাতীয়তাবাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সময় পাকিস্তান সরকারের সাথে তাঁর বিরোধ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এবং তিনি নিজেই ১৯৬৮ সালে অধ্যাপনার কাজে ইস্তফা দিয়ে সরাসরি রাজনীতি ও সার্বক্ষণিক লেখালেখিতে নিজেকে নিয়োজিত করেন।