bফ্ল্যাপ/bbr এই সঙ্কলনে সাতটি গল্প রয়েছে। এগুলোর পটভূমি কখন ঢাকা শহর কখন বাংলাদেশের গ্রাম এবং উপজীব্য মানুষের স্বপ্ন ও স্বপ্নের বিনাশ অথবা এই বিনাশের ভেতরেও অবচেতনের আদিম গুহায় একা কিংবা একসঙ্গে স্বপ্নের জন্যই তাদের জেগে থাকা। এই গল্পের বুননের ভিতরে হয়তো আছে প্রেম কিংবা তার সন্ধান, হয়তো ভালবাসা নয়- তার সন্ধানই জীবন। হয়তো আরো আছে ছায়া, পীড়ন ও পতনের, হয়তো ম্লান আনন্দের, এবং আছে জীবনের পথ একটুকরা/দুইটুকরা/পাঁচটুকরা লোকের; অথবা হয়তো কিছু নাই, আছে মাধুরী কিছু না থাকারbrbr bসূচিপত্র/bbr* কোথায় পাব তাওে – ৯br* আমাদের বকুল – ২৪br* মহল্লায় বান্দর, আব্দুল হালিমের মা এবং আমরা – ৪০br* ইন্দুর-বিলাই খেলা – ৫৬br* প্রথম বয়ান – ৮১br* ডলু নদীর হাওয়া – ৯৬br* আমাদের কুটির শিল্পের ইতিহাস - ১১৩ bফ্ল্যাপ/bbr এই সঙ্কলনে সাতটি গল্প রয়েছে। এগুলোর পটভূমি কখন ঢাকা শহর কখন বাংলাদেশের গ্রাম এবং উপজীব্য মানুষের স্বপ্ন ও স্বপ্নের বিনাশ অথবা এই বিনাশের ভেতরেও অবচেতনের আদিম গুহায় একা কিংবা একসঙ্গে স্বপ্নের জন্যই তাদের জেগে থাকা। এই গল্পের বুননের ভিতরে হয়তো আছে প্রেম কিংবা তার সন্ধান, হয়তো ভালবাসা নয়- তার সন্ধানই জীবন। হয়তো আরো আছে ছায়া, পীড়ন ও পতনের, হয়তো ম্লান আনন্দের, এবং আছে জীবনের পথ একটুকরা/দুইটুকরা/পাঁচটুকরা লোকের; অথবা হয়তো কিছু নাই, আছে মাধুরী কিছু না থাকারbrbr bসূচিপত্র/bbr* কোথায় পাব তাওে – ৯br* আমাদের বকুল – ২৪br* মহল্লায় বান্দর, আব্দুল হালিমের মা এবং আমরা – ৪০br* ইন্দুর-বিলাই খেলা – ৫৬br* প্রথম বয়ান – ৮১br* ডলু নদীর হাওয়া – ৯৬br* আমাদের কুটির শিল্পের ইতিহাস - ১১৩
Shahidul Zahir (১৯৫৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর) পুরান ঢাকার নারিন্দার ৩৬ ভূতের গলিতে (ভজ হরি সাহা স্ট্রিট) জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তার নাম ছিল মোহাম্মদ শহীদুল হক। তার পিতা এ কে নুরুল হক ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা ও মা ছিলেন গৃহিনী। তার পৈতৃক বাড়ি ছিল সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার হাশিল গ্রামে। তার দাদা জহিরউদ্দিন (সম্ভবত তিনি তার জহির নামটি তার দাদার কাছ থেকে নিয়েছিলেন) ছিলেন স্কুলশিক্ষক ও তার দাদী জিন্নাতুন নেসা। তার পিতার শৈশবেই তারা মারা যান। তার নানা ছিলেন সিরাজগঞ্জের আমলাপাড়ার আজিমুদ্দিন আহমেদ ও নানি হামিদা বেগম, যাদের কাছে তিনি প্রায়ই বেড়াতে যেতেন। এই জায়গাগুলি এবং সাতক্ষীরার ফুলবাড়ীয়া যেখানে তিনি প্রায়ই বেড়াতেন, তার মনে গভীর ছাপ রেখে যায় এবং পরবর্তীতে তার সাহিত্যকর্মে এই জায়গাগুলির উল্লেখ পাওয়া যায়। শহীদুল জহির তার স্কুলজীবন শুরু করেছিলেন ঢাকার ৩৬ রাঙ্কিন স্ট্রিটের সিলভারডেল কেজি স্কুলে, পরবর্তীতে ঢাকা, ফুলবাড়ীয়া, ময়মনসিংহ, সাতকানিয়া ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলে পড়েছেন। সাতকানিয়া মডেল হাই স্কুল থেকে এস.এস.সি পাশ করেন ও ঢাকা কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ওয়াশিংটন ডিসির আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ও বারমিংহাম ইউনিভার্সিটিতেও পড়ালেখা করেন। তিনি ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে সহকারী সচিব পদে যোগ দেন। ২০০৮ এ তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে কাজ করে গেছেন। শহীদুল জহির ছিলেন চিরকুমার এবং প্রায়ই তাকে এব্যাপারে প্রশ্ন শুনতে হত। কথা ম্যাগাজিনের সম্পাদক কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীরকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন যে তিনি এটি ব্যাখ্যা করতে অক্ষম , "আমি এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারব না, এটা এমনিতেই ঘটে গেছে" তার চার ভাই ও চার বোন ছিল। তার বাবা ১৯৯০ এ মারা যান ও তার মা ঢাকায় ভাইবোনদের সাথে থাকেন। তিনি কম কথা বলতেন এবং অন্তর্মুখী ছিলেন। তার সাথে বন্ধুত্ব করা কঠিন ছিল তবে তিনি অনেক বন্ধুসুলভ ছিলেন। তিনি ২০০৮ সালের ২৩ মার্চ ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হসপিটালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।